জাতীয় মুক্তিমঞ্চের আহ্বায়ক ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম বলেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র তবে জনগণ স্বাধীন নয়। দেশে হাসপাতাল আছে চিকিৎসা নেই, ওষুধ নেই। আদালত আছে বিচার নেই, কথা বলার অধিকার নেই। ভয়াবহ বন্যা আক্রান্ত্রদের জন্য ত্রাণ নেই। ঘরে ভাত নেই, পকেটে টাকা নেই। যোগ্য ব্যক্তিদের কদর নেই, সমাজের মনুষ্যত্ব নেই। সংসদ সদস্য আছে নির্বাচিত নন, পার্লামেন্ট আছে বিরোধী দল নেই। লোহার রডের পরিবর্তে বাঁশ দিয়ে ভবন নির্মিত হয় কারও মাথা ব্যাথা নেই।
মঙ্গলবার প্রেসক্লাবে জাতীয় মুক্তিমঞ্চ আয়োজিত ‘সার্বিক বিরাজমান পরিস্থিতি উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্নেল অলি বলেন, শিক্ষিত শিক্ষিত যুবকরা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে চাকরির কোনো ব্যবস্থা নেই, নালা নর্দমা পরিষ্কার নেই, নদী খাল আছে সংস্কার নেই, গালাগালি ছাড়া বক্তব্য নেই, গঠনমূলক আলোচনা ও সমাবেশ করার পরিবেশ নেই, মানুষের মনে শান্তি নেই, চোখে ঘুম নেই, জীবনের নিরাপত্তা নেই।
অলি আহমদ বলেন, জনগণকে বাঁচানোর জন্য মুক্তিযুদ্ধের সময় এগিয়ে এসেছিলাম। এবার বলছি, হয় মুক্তি না হয় মৃত্যু। সেই প্রতিজ্ঞা করে আপনারা এখান থেকে যাবেন, দেশকে বাঁচান দেশের জনগণকে বাঁচান।
তিনি বলেন, দেশের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হয়নি। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে ও নির্বাচনকালীন সময়ে জনগণ বিভিন্নভাবে নির্যাতিত ও অত্যাচারিত হয়েছে। কারণ দেশ স্বাধীন হয়েছে জনগণ স্বাধীন হয়নি। তাই আমাদের সবাইকে জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতে হবে। আইনের শাসন, সুশাসন, ন্যায় বিচার, মানবাধিকার, দুর্নীতিমুক্ত, মাদকমুক্ত, দলীয়করণমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করতে হবে। আমরা একে অপরকে দোষারোপ করে কখনও দেশকে তার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো না। সবাইকে সত্য উপলব্ধি করতে হবে, ন্যায়ের পক্ষে থাকতে হবে।
গোলটিবল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম বীর প্রতীক।
এসময় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, এলডিপির মহাসচিব ডক্টর রেদোয়ান আহমেদ, সাবেক সচিব মোফাজ্জল করিম, সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মহিউদ্দিন, ডক্টর প্রফেসর আবদুল লতিফ মাসুম, ডক্টর নেয়ামুল বশির, মুফতি মুনির হোছাইন, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন