কর্মজীবনের শেষ কার্যদিবসে এসে নিজের সাফল্য ও ব্যর্থতা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। ডিএমপি কমিশনার হিসেবে প্রায় চার বছর সাত মাস কর্মমুখর সময় শেষে দু’টি ব্যর্থতার কথা জানালেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা জানান তিনি।
এসময় তিনি বলেন, ১৬৮০ দিনের কমিশনার থাকাকালীন দুই জায়গায় ব্যর্থতার আক্ষেপ রয়েছে। একটি হচ্ছে, জনগণ থানায় যে সেবা প্রত্যাশা করছে, অনেকাংশে তা পূরণে ব্যর্থ হয়েছি। এক্ষেত্রে আমরা অনেক উন্নতি করলেও, কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি।
মহানগরী ঢাকার যানজট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা যে যানজটমুক্ত গতিশীল ঢাকার প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু সেটা করতে পারিনি।
তবে দায় স্বীকার করলেও যানজটের পেছনে আরো কিছু বিষয় জড়িত বলে জানান তিনি। বলেন, যানজটের দায় শুধু ডিএমপির নয়। ঢাকায় সিগন্যাল ব্যবস্থা একটি সংস্থা দেখভাল করে, পানি জমলে আরেক সংস্থা দেখে, সড়ক দেখে আরেক সংস্থা।
ডিএমপিতে দায়িত্ব গ্রহণের পর ৩৪ হাজার সদস্যকে এক ছাতার নিচে নিয়ে আসাকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আখ্যায়িত করে কমিশনার বলেন, ডিএমপি ৩৪ হাজার সদস্যের মনোভাবের পরিবর্তন করা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। তাদের বুঝানো, কোনো ধরনের বল প্রয়োগ করে ছড়ি ঘুরিয়ে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করা যায় না। এটি আমরা করতে পেরেছি।
একটি দেশে আইন তৈরি হলে সবাই মানবে আর দুই-চারজন না মানলে আইন প্রয়োগ করবে। কিন্তু আমাদের দেশে কেউ আইন মানতে চায় না। নাগরিকদের আইন মানতে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করা ছিল আরেকটি চ্যালেঞ্জ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন