ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট নেই, নেই যানবাহনের বাড়তি চাপও। ঈদ যাত্রায় কোন ধরণের ভোগান্তি ছাড়া যাত্রীরা স্বস্তিতেই বাড়ি যাচ্ছেন। শুক্র ও শনিবার ছিল সাপ্তাহিক ছুটি। এর একদিন পরই পবিত্র ঈদুল আজহা। স্বজনদের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে গত কয়েকদিন থেকেই কর্মস্থল ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ।
শনিবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার বিভিন্ন অংশে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মহাসড়কের কুমিল্লার ১০৪ কিলোমিটার এলাকায় কোথাও কোন যানজটের দৃশ্য চোখে পড়েনি। যানবাহনের ধীরগতি এবং বাড়তি চাপও নেই।
অতীতের কোরবানির ঈদগুলোতে মহাসড়কের এমন স্বস্তির দৃশ্য কখনও মেলেনি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা ও গোমতী সেতুর দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে দীর্ঘ যানজট তৈরি হতো। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকা পড়ে ঈদ যাত্রায় যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়তেন। চলতি বছরের ২৫ মে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা ও গোমতী নদীর ওপর নির্মিত দ্বিতীয় সেতু চালু হওয়ার পর থেকে অবসান ঘটেছে চিরচেনা যানজটের। কম সময়ের মধ্যেই স্বস্তিতে পথ পাড়ি দিচ্ছেন যাত্রীরা।
চালকরা জানান, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া প্রান্তে মেঘনায় দ্বিতীয় মেঘনা সেতু এবং কুমিল্লা দাউদকান্দি প্রান্তে গোমতী নদীর ওপর দ্বিতীয় গোমতী সেতু চালু হওয়ার পর থেকে মহাসড়কে যানজটের দেখা মেলেনি এই পর্যন্ত। তবে সেতুর ওপর উঠতে গিয়ে কিছু ভারী যানবাহন বিকল হয়ে পড়ায় প্রায় সময় জট সৃষ্টি হয়। তবে আগের মতো দীর্ঘ যানজট তৈরি হয় না। স্বস্তিতেই মহাসড়কে চলাচল করা যাচ্ছে।
শনিবার দুপুরে ঢাকা থেকে স্বপরিবারে কুমিল্লায় বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করেন কামাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি। তিনি ঢাকা থেকে বের হয়ে দেড় ঘণ্টার মাথায় কুমিল্লা ক্যান্টেনমেন্ট এসে পৌঁছেন। কোথাও কোনও যানজট চোখে পড়েনি বলে জানান। তার দাবি, এর আগে ঈদুল ফিতর ছাড়া ঈদে কখনও এমন স্বস্তিতে ঢাকা থেকে ঈদযাত্রা করতে পারেননি।
হিমালয় পরিবহনের চালক আবুল কাসেম জানান, দ্বিতীয় মেঘনা-গোমতী সেতু চালুর পর থেকে কখনও বড় ধরনের কোন যানজটে পড়েননি। বর্তমান পরিবেশ বজায় থাকলে ঈদের আগের দিনও যাত্রীরা যানজট ছাড়া বাড়ি ফিরতে পারবেন।
কুমিল্লা দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ওসি সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, মাহসড়কে স্বস্তিতেই ঈদযাত্রা করছেন যাত্রীরা। মেঘনা ও গোমতী সেতুর দুই পাশে কোন যানজট নেই। সেতুর দুই পাশে গাড়ির গতি স্বাভাবিক রাখতে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব