রংপুর মহানগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের নির্ধারিত ১১৭টি স্থানে কোরবানির পশু জবাই করার ব্যবস্থা করেছেন সিটি করপোরেশন। নির্ধারিত স্থানগুলো ছাড়া উন্মুক্ত স্থান ও সড়কের উপর পশু জবাই না করার জন্য নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
রবিবার বিকেলে মেয়র বলেন, ‘এবারো নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য সরকার থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমরা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য নগরীতে ১১৭টি স্থান নির্ধারণ করেছি। নির্ধারিত স্থানগুলোতে ব্যানার সাঁটানোর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীকে অবগত করতে লিফলেট বিতরণ ও মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।'
মোস্তফা বলেন, ‘রসিকের নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির জন্য পানি সরবরাহ, সেবাপ্রাপ্তির সু-ব্যবস্থা, কোরবানির জন্য ঈমাম ও মুয়াজ্জিন এবং মসজিদ মাদরাসার হুজুরদের রাখা হয়েছে। পশু কোরবানির পর বর্জ্যের দুর্গন্ধ বন্ধে ব্লিচিং পাউডারের ব্যবস্থা রাখা হবে। আমরা চাই নগরবাসী যত্রতত্র জবাই না করে নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই করুক। সবাই সচেতন হলে ৪৮ ঘণ্টা নয়, ২৪ ঘণ্টার আগেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব।’
এদিকে রসিকের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কোরবানির দিন সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে ৬২৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী তিনটি জোনে বিভক্ত হয়ে ৩৩টি ওয়ার্ডে দ্রুত বর্জ্য অপসারণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কাজ করবে। বর্জ্য অপসারণে নাগরিকদের সুবিধার্থে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
রসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলর মাহাবুবার রহমান মঞ্জু জানান, ঈদের দিন সিটির ৩৩টি ওয়ার্ড থেকে কোরবানি পশুর ২০০ টন বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঈদের দিন দুপুর ২টার সময় নগরীর শাপলা চত্বর থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন মেয়র। আশা করা হচ্ছে, ৪৮ ঘণ্টার আগেই বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হবে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ