বরিশালে ঈদুল আযহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সকাল ৮টায় হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রিয় ঈদগাহ ময়দানে। গতকাল রাতভর বজ্র বৃস্টি সহ বৈরী আবহাওয়া থাকলেও আজ সোমবার সকালে রৌদ্রজ্জল সুষ্ঠু-সুন্দর পরিবেশে প্রধান জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করতে পেরে মহান সৃস্টি কর্তার প্রতি শুকরিয়া জ্ঞাপন করেছেন মুসুল্লীরা।
সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ, বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমানসহ শীর্ষ রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ এবং প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার কয়েক হাজার ধর্মপ্রান মুসুল্লী প্রধান জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেন। মাওলানা সিহাবউদ্দিন বেগ প্রধান জামাতে ইমামতিত্ব করেন।
জামাত শেষে মোনাজাতে দেশ ও জাতীর মঙ্গল কামনা এবং ডেঙ্গু থেকে দেশের মানুষকে রক্ষার জন্য মহান সৃস্টিকর্তার বিশেষ কৃপা কামনা করা হয়।
নামাজ শেষে মুসুল্লীরা পরস্পরের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় তারা বৃস্টিহীন পরিবেশে নামাজ আদায় করতে পেরে শুকরিয়া প্রকাশ করেন। ঈদে পশু কোরবানির সাথে সাথে নিজেদের পশুত্ব কোরবানি দেওয়ার মধ্য দিয়ে মানুষ পরিশুদ্ধ হবে আশা মুসুল্লীদের। ডেঙ্গু পরিস্থিতি থেকে যাতে মানুষ রেহাই পায় সেই দোয়াও কামনা করেন অনেকে।
এদিকে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও সদর আসনের এমপি কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম ঈদ জামাত আদায় করেন নগরীর করিম কুটির জামে মসজিদে সকাল ৮টায়। জামাত শেষে তিনি স্থানীয় মুসুল্লীদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
বরিশাল বিভাগে সর্ব বৃহৎ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় সদর উপজেলার চরমোনাই দরবার শরীফ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায়। পীর সাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম এখানে ঈদ জামাতে ইমামতিত্ব করেন।
বিভাগের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায় পিরোজপুরের ছারছিনা দরবার শরীফ ময়দানে।
এছাড়া ঝালকাঠীর এনএস কামিল মাদ্রাসা মাঠে সকাল ৮টায়, পটুয়াখালীর মীর্জাগঞ্জ হযরত ইয়ারউদ্দিন খলিফা (রা.) মাজার শরীফে সকাল সাড়ে ৭টায় এবং ভোলা কেন্দ্রিয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৮টায়, জেলার উজিরপুরের গুঠিয়ার দৃস্টিনন্দন বায়তুল আমান মসজিদ কমপ্লেক্সে সকাল ৮টায় বিভাগের প্রধান প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
নগরীর জামে এবাদুল্লাহ মসজিদে সকাল ৮টায় ও সকাল সাড়ে ৯টায়, কেন্দ্রিয় জামে কসাই মসজিদে সকাল ৮টায় ও সাড়ে ৯টায়, জামে বায়তুল মোকাররম মসজিদে সকাল ৮টায় ও ৯টায়, পুলিশ লাইনস মাঠে সকাল ৮টায় ও ৯টায়, নূরিয়া স্কুল ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৭টায় ও সকাল সোয়া ৮টায় দুটি করে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়াও মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, কেন্দ্রিয় কারাগার জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, ল’ কলেজ জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, পোর্ট রোড জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায়, ব্রাউন কম্পাউন্ড জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায়, ফকিরবাড়ি রোড জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায়, পাওয়ার হাউজ জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, খান সড়ক জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, সাগরদী জামে মসজিদে সকাল ৮টায় এবং কালিজিরা কেন্দ্রিয় জামে মসজিদে সকাল ৮টায় সহ নগরীর ৩০টি ওয়ার্ড এবং বিভাগের ৬ জেলায় সহস্রাধিক ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিটি ঈদ জামাতসহ ঈদের প্রতিটি আনুষ্ঠানিকতা ঘিরে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার কথা জানানো হয়েছে মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ