দীর্ঘদিন ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত ছিলেন পুলিশের এএসআই আক্তার হোসেন। গত কিছুদিন পূর্বে কিছুটা সুস্থ হয়ে কর্মস্থলে যোগ দেন। সোমবার ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সৈয়দপুর এলাকায় দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি উদ্ধার করতে গিয়ে নিহত হন তিনি।
আক্তার হোসেনের বাড়ি কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ছোট বাতুয়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের দুলা মিয়ার ছেলে। তার মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এএসআই আক্তার হোসেনের চাচাতো ভাই জহিরুল ইসলাম জানান, আক্তার হোসেন পরোপকারী মানুষ ছিলেন। ৩০ বছর বয়সে ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। অনেক টাকা খরচ করে ক্যান্সারের চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেন। আক্তার তার বাবার দ্বিতীয় ছেলে। আক্তার দুই ছেলের জনক। বড় ছেলে মাহি হোসেনের বয়স (৮) ও ছোট ছেলে আহনাফ হোসেনের বয়স (৪)। কোরবানির ঈদের পূর্বে ১০ দিনের ছুটি নিয়ে বাবা এবং মাকে হজ্বে পাঠান। এখনও তারা সৌদি আরবে আছেন।
জহিরুল ইসলাম আরও বলেন, মরণব্যাধি রোগ ক্যান্সার যুদ্ধে জয়ী হলেও সড়ক দুর্ঘটনা আক্তারকে বাঁচতে দেয়নি। তার ইচ্ছে ছিল তার দুই ছেলেকে মানুষের মত মানুষ করবেন।
মিয়ার বাজার হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বলেন, আক্তার বিনয়ী ছেলে। নিয়মিত নামাজ পড়তো। কাজের প্রতিও তার আন্তরিকতা ছিলো। কিছুদিন আগে ক্যান্সার থেকে সুস্থ হলো। তাকে হারিয়ে আমরা মর্মাহত। তার বাড়িতে মরদেহ পৌঁছে দিয়েছি। তার বাবা-মা হজ থেকে ফিরলে দাফন হবে। এদিকে কাভার্ড ভ্যানের চালকের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, সোমবার ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সৈয়দপুর এলাকায় চৌদ্দগ্রামে দুইটি কাভার্ডভ্যান দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়। উদ্ধার কাজে গেলে আরেকটি কাভার্ড ভ্যান পুলিশের পিকাপ ভানে চাপা দেয়। এতে এএসআই আক্তার হোসেন নিহত হন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল