রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী চূড়ান্ত করা হলে তার পক্ষে মাঠে না থাকার ঘোষণা দিয়েছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ ঘোষণা দেন তিনি।
মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘রংপুরের এই আসনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ আসনে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে এমন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে হবে। এটাতো ১৯৯১ বা ৯৬’র প্রেক্ষাপট নয়। এখন যে কাউকে ধরে এনে প্রার্থী করা হলে তা দলের জন্য ক্ষতি ডেকে আনবে। বহিরাগত কেউ প্রার্থী হলে রংপুরের জনগণ সেটা মেনে নিবে না। জাপার নেতাকর্মীরাও সে সিদ্ধান্তের কথা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘জননন্দিত, জনসমর্থিত, পরিচ্ছন্ন মানুষকে এরশাদ স্যারের আসনে প্রার্থী ঘোষণা করতে হবে। সেক্ষেত্রে স্থানীয় তিনজন প্রার্থী রয়েছে, যাদেরকে কমবেশি সবাই চিনে ও জানে। এদের কাউকে প্রার্থী করা হলে কোনো আপত্তি থাকবে না।’
এ সময় সাদ এরশাদের প্রার্থিতা চূড়ান্তের ইঙ্গিত প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমিও তো আপনাদের মতো শুনেছি। কিন্তু এখনো সাদকে চূড়ান্ত করা হয়নি বলে জানি। যদি সাদ এরশাদকে প্রার্থী করা হয়, তাহলে আমরা রংপুর জাতীয় পার্টি তার পক্ষে কাজ করব না।’
সাদ এরশাদের জয়ের কোনো সম্ভাবনা নেই দাবি করে রংপুর সিটি মেয়র বলেন, ‘যারা তাকে প্রার্থী করতে মরিয়া, তাদেরকেই রংপুরে এসে মাঠে কাজ করতে হবে। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সাদের সঙ্গে থাকবে না। আমি দলের নীতি নির্ধারকদের কাছে আহ্বান জানাই এমন একজনকে প্রার্থী করা হোক, যাকে স্থানীয়ভাবে সবাই জানেন, চিনেন এবং ভোট দেবেন।’
এদিকে সাদ এরশাদকে রংপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তার কুশপুতুল দাহ করাসহ নগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে এরশাদের ছোট ভাইয়ের ছেলে সাবেক এমপি হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফের কর্মী-সমর্থকরা। তারা এরশাদের স্মৃতিবিজড়িত গুরুত্বপূর্ণ এ আসনে পরিবারের সদস্য হিসেবে আসিফ শাহরিয়ারকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জুলাই এরশাদের মৃত্যুতে রংপুর-৩ আসন আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৫ অক্টোবর ভোটগ্রহণ হবে। মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর। যাচাই-বাছাই ১১ সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৬ সেপ্টেম্বর। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৫ অক্টোবর।
রংপুর সদর উপজেলা ও সিটি করপোরেশন নিয়ে গঠিত এ আসনের মোট ভোটার ৪ লাখ ৪২ হাজার ৭২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২১ হাজার ৩১০ জন এবং ২ লাখ ২০ হাজার ৭৬২ জন নারী ভোটার।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব