বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) অধীন আরবান প্রাইমারী হেলথ কেয়ার সার্ভিস ডেলিভারি প্রকল্পের আওতায় নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ৩৩ কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
৮ মাসের বেতন বকেয়া রেখে রবিবার বিকেলে আয়া, দারোয়ানসহ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৩৩ কর্মচারীকে মৌখিকভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়। এর ফলে মধ্যবয়সী ওই ৩৩ জনের জীবনে অন্ধকার নেমে এসেছে। চাকরিচ্যুতরা নগরীতে ভাড়া বাসায় পরিবারসহ থাকেন এবং তাদের প্রত্যেকের সন্তান স্কুলগামী।
বিসিসি সূত্র জানায়, ২০০৬ সাল থেকে আরবান প্রাইমারী হেলথ কেয়ার সার্ভিস ডেলিভারি প্রকল্পের আওতায় নগরীতে ৫টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিচালনা করছে সিটি করপোরশেন। এসব কেন্দ্রে মা ও শিশু এবং অন্তঃসত্ত্বাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) 'মেরি স্টোপস' এবং 'সৃজনী বাংলাদেশ' পর্যায়ক্রমে এই প্রকল্প পরিচালনা করেছে। নিয়ম অনুযায়ী প্রকল্প পরিচালনায় উন্নয়ন সংস্থার হাতবদল হলেও নিয়োগপ্রাপ্ত জনবল একই থাকত।
'সৃজনী বাংলাদেশ' এর মেয়াদ শেষে এনজিও 'সীমান্তিক' গত ১ আগস্ট দায়িত্ব নিয়ে কর্মরতদের ক্ষেত্রে একই নিয়ম বহাল রাখার প্রতিশ্রুত দিয়েছিল। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে গত পহেলা সেপ্টেম্বর কর্মরত ৮৫ জনের মধ্যে ৩৩ জনকে মৌখিক নোটিশে চাকরিচ্যুত করা হয়।
চাকরিচ্যুত সুশান্ত বালা বলেন, ৮ মাসের বেতন বকেয়া। তারপরও চাকরি করে আসছিলেন, প্রকল্প থাকলে একদিন না একদিন বেতন পাবো এই আশায়। এখন বেতন না দিয়ে চাকরি থেকে বিদায় করে দিল কর্তৃপক্ষ।
আরেক চাকরিচ্যুত মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ চাকরিচ্যুত হওয়ায় চোখে অন্ধকার দেখছেন। এখন পরিবার-পরিজনের ভরণ-পোষণ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। তাদের মতো একই অবস্থা বাকিদেরও।
৩৩ জনকে মৌখিক নোটিশে চাকরিচ্যুত করার কারণ জানতে চাইলে ওই প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো. শাহনেওয়াজ মুঠোফোনে নিজের চাকরি রক্ষার দোহাই দিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
বিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসরাইল এ বিষয়ে বলেন, আরবান হেলথ কেয়ারের প্রকল্প পরিচালনায় আগের এনজিও’র মেয়াদ শেষ হয়েছে। নতুন একটি এনজিও’কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর বেশি কিছু বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন তিনিও।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন