রাজশাহী নগরীতে প্রদর্শিত তামাকের বিজ্ঞাপন অপসারণে তামাক কোম্পানিগুলোর পরিবেশকদের এ বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর নোটিশ জারি করেছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু রাজশাহী মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে দুই হাজার ৭৩৬টি তামাকপণ্যের ৯০ ভাগ দোকানে তামাকের বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর আইন বহির্ভূত অবৈধ বিজ্ঞাপন, প্রণোদনা ও পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে।
‘এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডি’র রাজশাহী মহানগরীতে পরিচালিত ‘তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন, প্রচার, প্রণোদনা ও পৃষ্ঠপোষকতা’ শীর্ষক এক জরিপে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের ভয়াবহ এ চিত্র উঠে আসে।
বুধবার সকালে নগরীর একটি রেস্তোরাঁর সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মহানগরীর ২৭৩৬টি তামাকপণ্যের বিক্রয়কেন্দ্রের মধ্যে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে ৪২৪ টিতে পরিচালিত জরিপের মাধ্যমে এ প্রতিবেদন উঠে আসে।
এসিডি’র নির্বাহী পরিচালক সালীমা সারোয়ারের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রিফাতুল ইসলাম। ‘এসিডি’র মিডিয়া ম্যানেজার আমজাদ হোসেন শিমুলের উপস্থাপনায় এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন- ‘এন্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স-আত্মা’র রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক শরীফ সুমন ও রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী শাহেদ।
এসময় অন্যদের মধ্যে এসিডি’র ডিরেক্টর (ফিন্যান্স) পংকজ কর্মকার, প্রোগ্রাম অফিসার কৃষ্ণা রাণী বিশ্বাস, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে ‘তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন, প্রচার, প্রণোদনা’ শীর্ষক জরিপের প্রতিবেদন পাওয়ার পয়েন্টে উপস্থাপন করেন ‘এসিডি’র এডভোকেসি অফিসার মো. শরিফুল ইসলাম শামীম।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল