জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আজ কেক কেটে নিজের প্রতিষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি’র যুগপূর্তি পালন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক। এ সময় তার পাশে ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ার, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আব্দুল হালিম, জাগপার মহাসচিব খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের থাকার কথা থাকলেও তিনি অনুষ্ঠানে আসেননি।
সভা মঞ্চে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ারকে পাশে বসিয়ে মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলেন সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ৯টি মাসের প্রতিটি দিন আমাদের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমি বাঙালি, আমি মুক্তিযোদ্ধা, আমি বাংলাদেশি। অতঃপর আমি রাজনৈতিককর্মী। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের ৪ তারিখ আমি ২২ বছর ৯ মাস বয়সের একজন তরুণ। লেফটেন্যান্ট ইবরাহিম। আখাউড়া রেলওয়ে শহরের উত্তরে আজমপুরে, রেলস্টেশনের দক্ষিণে বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈন্যদের নিয়ে আক্রমণরত ছিলাম। চার তারিখ দিবাগত রাত্রে চুড়ান্ত যুদ্ধ হয়। ৫ দিন ৪ রাতের অর্থাৎ ৫ ডিসেম্বর সকাল বেলা ফজরের আজানের সময় আখাউড়া জেলাতে যেসব পাকিন্তানি ছিল তারা আত্মসমর্পণ করে, পলায়ন করে, নিহত হয়। তখন আখাউড়া আমাদের দখলে চলে আসে। আমার ব্যাটালিয়ন ৩৩টি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মৃতদেহকে একখানে করেছিলাম। সেদিন ৪০ জনের অধিক পাকিস্তানি সৈন্য পানিতে ডুবে মারা যায়।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বাংলাদেশ অকল্যাণকর এমন কোনও কাজ নেই যা এ সরকার করছে না। মানুষ ১ কিজি পেয়াজ কিনার জন্য রোদের মধ্যে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকছে।
সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের প্রশংসা করে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আমাদের রাজনীতির সংগ্রামমুখর চলার পথে জেনারেল ইবরাহিম অগ্রসেনানী। জেনারেল ইবরাহিমের নেতৃত্বে কল্যাণ পার্টির যে সংগ্রাম, জাতীয় রাজনীতিতে যে অবদান, তা এ দেশের রাজনীতিকে অনেক দূর এগিয়ে নেবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার