বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দীন আকন (৬৪) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না লিল্লাহি রাজিউন)। বুধবার দিবাগত রাতে চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন উপজেলা পরিষদের বাসভবনে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় পরিবারের সদস্যরা তাকে চিকিৎসার জন্য খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, আওয়ামী লীগ কামাল উদ্দীনের মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে বাগেরহাটসহ শরণখোলার সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে। মরহুমের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও শোক প্রকাশে উপজেলার সদরের রায়েন্দা বাজারের ব্যবসায়ীরা সমস্ত দোকানপাট বন্ধ ঘোষণা করেছেন। কামাল উদ্দীনে বড় ছেলে রায়হান উদ্দিন শান্ত ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন মুক্তা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
মৃত্যুকালে কামাল উদ্দীন স্ত্রী, তিন ছেলে, এক মেয়ে, শতবর্ষী বাবা, তিন ভাইসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, রাজনৈতিক সহচর ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। কামাল উদ্দিন আকন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শতবর্ষী মো. নাছির উদ্দিন আকনের মেজ ছেলে এবং সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ মনিরুজ্জামান বাদলের বড় ভাই।
বর্ষীয়ান এ রাজনীতিক ১৯৭০ সালে তৎকালীন থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭২ সালে রায়েন্দা পাইলট হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের টানা ১৫ বছর ধরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া কামাল উদ্দিন আকন রায়েন্দা ইউনিয়নের পরে দুইবার ইউপি চেয়ারম্যান এবং তিনবার উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান নির্বাচিত হন।
কামাল উদ্দিন আকনের মরদেহ সকাল সাড়ে ১০টায় খুলনা থেকে এ্যাম্বুলেন্সে শরণখোলায় এসে পৌঁছায়। কফিন রাখা হয় তার রায়েন্দা বাজারে নিজ বাড়িতে। তাকে শেষবারের মতো দেখার জন্য সেখানে মানুষের ঢল নামে এবং এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। উপস্থিত সবার মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
আজ বৃহস্পতিবার বাদ আসর উপজেলা সদরের রায়েন্দা সরকারি পাইলট হাইস্কুল মাঠে জানাজা শেষে মরহুমের মরদেহ রায়েন্দা বাজারস্থ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব