রংপুরে নেশাগ্রস্ত স্বামীর হাতে খুন হয়েছে গর্ভবতী স্ত্রীসহ দুই সন্তান। রবিবার দুপুরে নগরীর বাহার কাছনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রিকশাচালক আবদুর রাজ্জাক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তার স্ত্রীকে গলা কেটে এবং দুই শিশু সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে । পরে সে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় পুলিশ রাজ্জাককে গ্রেফতার করে চিকিৎসার জন্যে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নগরীর বাহার কাছনা কাকিনা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা রিকশাচালক আবদুর রাজ্জাক। সকালে স্ত্রীর সাথে ঝগড়ার এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে স্ত্রী তাসনিয়া আক্তার রত্নার (৩৫) গলা কাটে। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই রত্নার মৃত্যু হয়। রত্না সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। এরপর তার দেড় বছর বয়সী শিশু সন্তান রেহান ও আট মাসের নবজাতক শিশুকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। রিকশাচালক আবদুর রাজ্জাক প্রতিনিয়িত নেশাগ্রস্ত হয়ে স্ত্রীকে ধরে মারপিট করত বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এঘটনার পর রাজ্জাক তার গলা কেটে নিজেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
এদিকে খবর পেয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালী, মাহিগঞ্জ ও হারাগাছ থানার পুলিশ এবং র্যাব-১৩ এর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। ঘটনাস্থল থেকে রিকশাচালক আবদুর রাজ্জাককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রশিদ।
তিনি জানান, দুপুরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই রিকশাচালককে গ্রেফতার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ হত্যাকান্ডের  কারণ জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরে এঘটনা ঘটতে পারে।
মৃত রত্নার খালাতো বোন শাহনওয়াজ বেগম জানান,  ১০ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। তারা আগে স্টেশন পীরপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো। এরইমধ্যে বনিবনা না হওয়ায় রাজ্জাক স্ত্রীকে তালাক দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করেন। পরে তাদের মধ্যে সমঝোতা হওয়ায় প্রথম স্ত্রী রত্নাকে নিয়ে রাজ্জাক  বাহারকাছনা এলাকায় বছরখানেক আগে বাড়ি করে সেখানে বসবাস শুরু করেন। 
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার