নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কাজ করে পারিশ্রমিক চাওয়ার পর আব্দুর রহিম (৩৫) নামে এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রিকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। গত রাতে ফতুল্লার মাসদাইর গুদারাঘাটে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে নিহতের মা রহিমা বেগম বাদী হয়ে অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেন আসিফসহ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। হত্যাকাণ্ডের পর গত রাতেই অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেন আসিফ এবং তার মা রাজিয়া বেগম (৫৫) ও খালা সুলতানা বেগমকে (৫৫) গ্রেফতার করা হয়েছে।
নিহত আব্দুর রহিম শরিয়তপুরের জাজিরা থানার মাঝিকান্দির ইমান আলীর ছেলে। তিনি সপরিবার ফতুল্লার মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকার ইলিয়াস সরদারের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে আসিফের বাড়িতে ইলেকট্রিকের কাজ বাবদ আব্দুর রহিমের পাঁচ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। গত রাত সাড়ে ৮ টার দিকে গুদারাঘাট এলাকায় আসিফকে দেখে তিনি পাওনা টাকা চান। টাকা চাওয়ার কারণে আসিফের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আসিফসহ আরো কয়েকজন মিলে আব্দুর রহিমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন আব্দুর রহিমকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, পাওনা পাঁচ হাজার টাকা চাওয়ার কারণে আসিফসহ কয়েকজন মিলে আব্দুর রহিমকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় আসিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যার আলামত হিসেবে ঘটনাস্থলের রক্ত ধুয়ে নষ্ট করার অভিযোগে তার মা ও খালাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন