সাভারের আশুলিয়ায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিক বখাটেদের গণধর্ষণের শিকার হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসাদুল শেখ নামে এক যুবককে পুলিশ আটক করলেও বাকিরা পলাতক রয়েছে। ধর্ষিতা নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে ধর্ষণের ঘটনায় আটক অভিযুক্ত ওই যুবককে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। এর আগে, গত রবিবার দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বাইপাইল এলাকার একটি বাসার চতুর্থ তলায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
আটক আসাদুল শেখ (৩২) নাটোর সদর জেলার তেবাড়িয়া গ্রামের সাদেক আলী শেখের ছেলে। সে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার এ/পি শাহিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া।মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষিতা ওই তরুণী আশুলিয়ায় বাইপাইল এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি করেন । কিছু দিন পূর্বে প্রতিবেশী বাবর আলীর বাড়ির ম্যানেজার মুসলিম উদ্দিন তার কাছে দুই হাজার টাকা ধার নেয়। পরে গত রবিবার দুপুরে ওই নারী শ্রমিক সেই ধারের পাওনা টাকা চাইতে ম্যানেজারের কক্ষে যায়। এ সময় স্থানীয় বখাটে আসাদুল ও তার আরো পাঁচ বন্ধু মিলে ওই নারী শ্রমিককে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে চতুর্থ তলার একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে ।
এরপর পালাক্রমে তার উপর চালানো হয় পাশবিক নির্যাতন। পরে গভীর রাতে নারী শ্রমিককে ভয় দেখিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয় বখাটেরা। এদিকে এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ আসাদুল শেখ নামের একজনকে আটক করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) জিয়াউল ইসলাম বলেন, গণধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় আটক আসাদুলকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। একই সাথে অভিযুক্ত বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব
