বাংলাদেশে প্রবেশকারী ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাদের সসম্মানে মায়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার দাবিতে এবং রাখাইন অঞ্চলে সংঘটিত গণহত্যার দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ শান্তি পরিষদ। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন শান্তি পরিষদের সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টু। মানববন্ধনে শান্তি পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান খান, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. শাহাদাত হোসেন, অ্যাড. এস এম সবুর, মমতাজ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা ইসমাইল হোসেন, নাজমুল হক প্রধান, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. হাসান তারিক চৌধুরী, আসলাম খান, জাহাঙ্গীর আলম ফজলু প্রমুখ।
সভায় শান্তি পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেন, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন রায়ের মধ্য দিয়ে নিরীহ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর মায়ানমারের সেনাবাহিনীর পরিচালিত গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ বিশ্ববাসীর নজরে এসেছে। কিন্তু এই অপরাধের উপযুক্ত বিচার এখনো হয় নাই। প্রাণভয়ে প্রায় ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী আজ বাংলাদেশে অবস্থান করছে। এই বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী আজ বাংলাদেশের উপর বিরাট অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করেছে। যা বাংলাদেশের পক্ষে বহন করা অসম্ভব। এছাড়া এর ফলে বাংলাদেশের উপর এক বিরাট নিরাপত্তা ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে। ফলে এ অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থে এই বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে সসম্মানে দ্রুত তাদের নিজ দেশ মায়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার কোনো বিকল্প নেই। আন্তর্জাতিক আদালতও রায়ে মায়ানমার সরকারকে বলেছেন, তারা যেন ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশন এর প্রতি সম্মান দেখিয়ে সেখানে আর কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত না করে। নেতৃবৃন্দ এ সমস্যা সমাধানে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহযোগিতা কামনা করেন।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা