ঢাকার পর এবার ময়মনসিংহেও সীমিত করা হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান। যতটা সম্ভব জনসমাগম পরিহার করে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন এবং জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত সরকারের নির্দেশে পরিবর্তনও হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
অপরদিকে স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় বিভাগের চার জেলায় নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। ময়মনসিংহ ও এর আশেপাশের জেলার মানুষের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে নগরীর র্যালি মোড়ে অবস্থিত সূর্যকান্ত (এস.কে) হাসপাতালে প্রস্তুত রাখা হয়েছে সেবাকেন্দ্র।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থগিত হওয়া মূল অনুষ্ঠানটি নগরীর টাউন হল থেকে সরাসরি দেখানোর কথা ছিল। একই স্থানে ১৭ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশের উপর প্রামাণ্য চিত্রসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং স্কুল পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা স্থগিত করা হয়েছে।
মেয়র ইকরামুল হক টিটু জানান, ‘করোনাভাইরাসের কারণে জনস্বার্থে ও জনকল্যাণের কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী ১৭ মার্চ মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান স্থগিত করায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে করপোরেশনের ভেতরে ছোট পরিসরে উদযাপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
অপরদিকে, জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর জন্মশত দিনে র্যালি, শিশু-কিশোর সমাবেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ জাঁকজমক আয়োজন ছিল জেলা প্রশাসনের। কিন্তু এখন অনুষ্ঠানগুলো আমরা সীমিত করার কথা ভাবছি। তবে মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে চূড়ান্ত দিক-নির্দেশনার পর পরিবর্তিত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগও দলীয় কার্যালয়ে জমায়েত, কেক কাটা এবং সরকারি কর্মসূচিতে যোগদান করা স্থগিত করেছে। তবে কেন্দ্রের নির্দেশে শুধু পতাকা উত্তোলন হবে বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম ও জেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল।
এদিকে, করনোভাইরাস মোকাবেলায় ইতিমধ্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) ও হাসপাতাল এস.কে হাসপাতালে ১০ শয্যার একটি সেবাকন্দ্র খোলা হয়েছে। তবে দু’একদিনের মধ্যে তা ৩০ শয্যায় উন্নীত করা হবে বলে জানান মমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. হিবরুল বারি।
ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় ১০০ শয্যা করে প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) আবুল কাশেম। তিনি বলেন, এখনো স্থান নির্ধারণ না হলেও আজকালের মধ্যেই চূড়ান্ত করা হবে। আর উপজেলা পর্যায়ে ৫০ শয্যার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম