৪ এপ্রিল, ২০২০ ১৯:৫৫

ডিসিকে ফোন করলেই মিলছে খাদ্য সহায়তা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

ডিসিকে ফোন করলেই মিলছে খাদ্য সহায়তা

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজশাহী জেলা প্রশাসনের খাদ্য সহায়তা পাচ্ছেন সাড়ে ৬০ হাজার কর্মহীন পরিবার। এজন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৬০৭ মেট্রিক টন খাদ্যসামগ্রী। এছাড়াও ১৪ লাখ ৫০ হাজার নগদ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। এ অবস্থায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও দুস্থ মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য নতুন কৌশল নিয়েছেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. হামিদুল হক। এরই মধ্যে তিনি একটি ‘হটলাইন’ নম্বর চালু করেছেন। খাদ্য সহায়তা না পেলে তার দফতরের ওই ‘হটলাইন’ নম্বরে ফোন করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। 

শুক্রবার রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে করোনায় কর্মহীনদের প্রতি তিনি এ আহ্বান জানান।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক তার অফিসিয়াল ফেসবুক টাইমলাইনে লিখেছেন, ‘প্রিয় রাজশাহীবাসী, খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন এমন কোনো পরিবার এখন পর্যন্ত সরকারি/বেসরকারি খাদ্য সহায়তা না পেলে নিম্নোক্ত নম্বরে নাম ঠিকানা ও মোবাইল নম্বরসহ কল বা এসএমএস করুন। জেলা প্রশাসন আপনার পাশেই আছে। মোবাইল নম্বর-০১৭১৭৬০৯০৫৩।’ 

রাজশাহী জেলা প্রশাসকের অফিসার ফেসবুকে নম্বরটি প্রকাশের পর কয়েকজন এসএমএস পাঠান। ২০ মিনিটের মধ্যে তাদের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে যায় বলেও জেলা প্রশাসনের দফতর থেকে জানা গেছে।

এর আগে রাজশাহী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের খাদ্য সহায়তা পাচ্ছেন সাড়ে ৬০ হাজার কর্মহীন পরিবার। এজন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৬০৭ মেট্রিক টন খাদ্যসামগ্রী। এছাড়াও ১৪ লাখ ৫০ হাজার নগদ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে কর্মহীন মানুষের বাড়িতে এই খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলেন, বর্তমানে জেলা প্রশাসনের কাছে আরও ১৮৯ মেট্রিক টন চাল ও ৪ লাখ ৫ হাজার নগদ অর্থ মজুদ আছে। এর বাইরে স্থানীয় সরকারের তহবিল থেকেও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সহায়তা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আগামীতে দরিদ্র পরিবার চিহ্নিত করে চাহিদানুযায়ী সহায়তার পরিমাণ বাড়ানো হবে। কেউ অনাহারে থাকবেন না। মধ্যম শ্রেণীর ব্যক্তিরা যারা লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার নিতে পারবেন না বা যারা চাইতে পারেন না তারাও জেলা প্রশাসকের দফতরে ফোন করতে পারবেন। ফোন করলেই খাবার পৌঁছে যাবে তাদের বাড়িতে।

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর