‘লকডাউন’ একটি ইংরেজি শব্দ। এর বাংলা অর্থ ‘অবরুদ্ধ’। অর্থাৎ যিনি যেখানে আছেন তিনি সেখানেই থাকবেন। এক এলাকা থেকে অন্য এলাকা, এমনকি এক বাসা থেকেও অন্য বাসায় যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা। জেলা প্রশাসন গত ১২ এপ্রিল থেকে বরিশাল নগরীসহ পুরো জেলা লকডাউন ঘোষণা করলেও কিছু মানুষ এই নিষেধাজ্ঞা মানছেন না।
মঙ্গলবার নবম দিনেও বরিশাল নগরীর সদর রোড, বাজার রোড, পুলিশ লাইন রোড, পোর্ট রোড, বগুড়া রোড, হাসপাতাল রোড, বান্দ রোড সিএন্ডবি রোড, নবগ্রাম রোড, নুথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল ও রূপাতলী বাস টার্মিনাল এবং নদী বন্দর এলাকায় দেখা গেছে অনেক মানুষ। রিক্সা, অটোরিক্সা, বাইসাইকেল, মোটরসাইকেলসহ ব্যক্তিগত যান, এমনকি পায়ে হেঁটেও মানুষকে রাস্তায় চলাচল করতে দেখা গেছে। নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে এবং সড়ক মোড়ে পুলিশ চেকপোস্ট স্থাপন করে পথচারীসহ বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীদের নানাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। অপ্রয়োজনীয় যান আটকে দিচ্ছে।
এদিকে, জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতও মঙ্গলবার অযথা ঘোরাফেরা করায় নগরীর জিলা স্কুল মোড়ে এক মোটরসাইকেল আরোহীকে জরিমানা করেছে।
রাস্তায় বের হওয়া মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাসার বাজার, ওষুধ, ব্যাংকিং, অফিসের চাপসহ নানা পারিবারিক ও ব্যক্তিগত এবং দাপ্তরিক প্রয়োজনে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন তারা। তবে প্রয়োজনটুকু সেরেই তারা বাসায় ঢুকে যান। করোনা সংক্রামনের ঝুঁকি থাকায় তারা অযথা ঘোরাফেরা করেন না বলে দাাবি করেন।
তবে কিছু মানুষ রাস্তায় বের হওয়ার প্রকৃত সদুত্তর দিতে পারেনি, তারা নানা অজুহাতে রাস্তায় দাপিয়ে বেড়ান। সকালের দিকে রাস্তায় বের হওয়া মানুষ দুপুরের পর আস্তে আস্তে ঘরে ঢুকে যাচ্ছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর নগরীর রাস্তাঘাট অনেকটা জনশূন্য হয়ে পড়ছে। রাতের বরিশালে লকডাউন অনেকটাই বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সাধারণ মানুষ।
এদিকে, নিষেধাজ্ঞা থাকলেও দিনের বেলা রাস্তায় বের হওয়া মানুষের সংখ্যা বরিশালের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১ ভাগ বলে দাবি করেছেন কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম।
তিনি জানান, এই মানুষগুলো একান্ত প্রয়োজনে রাস্তায় বের হচ্ছেন। পুলিশসহ প্রশাসন লকডাউন শতভাগ বাস্তবায়নে চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে মাইকিং করা হচ্ছে। জনগণকে করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে বুঝিয়ে ঘরে রাখার চেষ্টা চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন