কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে এনজিও কর্মী ফাতেমা আক্তার (২৫) নিখোঁজ হওয়ার দুইদিন অতিবাহিত হলেও এখনো তার সন্ধান মিলেনি। ফাতেমা আক্তার কুমিল্লার লালমাই উপজেলার পেরুল (দক্ষিণ) ইউনিয়নের ভাটার গ্রামের রেজাউল করিমের স্ত্রী। নিখোঁজের ঘটনায় কুমিল্লার লালমাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
জিডি সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এনজিও অফিসে এসে হাজিরা খাতায় দস্তখত করেন এবং শাখা ব্যবস্থাপককে চিকিৎসার কথা বলে অনুমতি নিয়ে বেরিয়ে পডেন। পরে তিনি পার্শ্ববর্তী লালমাই উপজেলা থেকে এফডিআরের টাকা উত্তোলন করতে না পারায় তার এনজিওর সহকারী ব্যবস্থাপকের সহায়তা চেয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগও করেন। কিন্তু সেখান থেকে বের হওয়ার পর অনেক চেষ্টা করেও আর যোগাযোগ করা যায়নি। এটি বন্ধ হয়ে যায়।
সেই এনজিও'র আশিরপাড় শাখা ব্যবস্থাপক (দাবি) মো. নুরুজ্জামান জানান, হঠাৎ তিনি এভাবে নিখোঁজ হবেন, বিষয়টি ভাবতেই অবাক লাগছে। তার ধারণা হয়তো কোনো দুর্বৃত্তের দল তাকে অপহরণ করছে।
ফাতেমার দেবর মো. হারুন অর রশিদ সৈকত জানান, একই উপজেলার বাগমারার বেতাগাঁও গ্রামের মো. শাহ আলমের মেয়ে ফাতেমার সঙ্গে ২০১১ সালের ২৭ অক্টোবর তার ভাই বাক প্রতিবন্ধী রেজাউলের বিয়ে হয়। তাদের ৬ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
সৈকত আরও জানায়, তার ভাবি অত্যন্ত ভালো মানুষ। যে কোনো বিষয় তিনি পরিবারের সকলের সঙ্গে শেয়ার করতেন। তার দাবি দুর্বৃত্তরা তার ভাবিকে অপহরণ করেছে।
স্ত্রীর নিখোঁজের সংবাদে বাক প্রতিবন্ধী রাসেল খাওয়া দাওয়া ছেড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। পুরো পরিবার বিপর্যস্ত।
লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, ফাতেমার সন্ধানের ব্যাপারে জোর চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা