শিরোনাম
- চান্দিনার সাবেক মেয়র গ্রেফতার
- ড্রেনে পড়ে শিশুর মৃত্যু, ৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার মরদেহ
- বনানীতে পথশিশু ধর্ষণ : মূল অভিযুক্ত পরিবহন হেলপার গ্রেফতার
- দুর্যোগের সময় ভুল তথ্য ঠেকাতে টিকটকের নতুন টুল
- মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ইংরেজি চর্চা করা উচিত: ধর্ম উপদেষ্টা
- দক্ষতা দিবসে ১১ তরুণ পেলেন জাতীয় পুরস্কার
- ৫ দিনের রিমান্ডে ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রধান নেতা মাহফুজ
- সুন্দরগঞ্জে মোটরসাইকেল-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ১
- দুধে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে কিশোরী ধর্ষণ, যাবজ্জীবন সাজা
- চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ২০ জুলাই পরিবহণ ধর্মঘট
- ফেসবুক ও মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করে চলত প্রতারণা, গ্রেফতার ৪
- শিক্ষার্থী সেবায় বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা
- ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল
- নির্বাচন ঠেকানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : টুকু
- জুলাইয়ে নারীদের সাহসী উত্থান উদযাপনে ঢাকায় মশাল মিছিল
- বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া
- মালয়েশিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ১১
- নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঢামেক হাসপাতালের সামনে থেকে দুই দালাল আটক
- ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: আসামি মহিন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে
রাজশাহীতে মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও রাজশাহীতে জমে উঠেছিল ঈদবাজার। এটি বন্ধ করতে মঙ্গলবার সকাল থেকে কঠোর অবস্থান নিয়েছে প্রশাসন। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে রাজশাহী নগরীর সব মার্কেট। ফুটপাত থেকেও সব ধরনের ব্যবসায়ীদের উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কড়াকড়ি করা হচ্ছে রিকশা-অটোরিকশা চলাচলে।
এতে স্বস্তি ফিরেছে সচেতন মহলে। তারা বলছেন, গত কয়েকদিন মার্কেট-দোকানপাট খোলার কারণে শহরে করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেড়ে গিয়েছিল। কেননা তখন মার্কেটে সামাজিক দূরত্বের কিছুই মানা হচ্ছিল না। গায়ের সঙ্গে গা লাগিয়ে ঈদের কেনাকটায় মেতেছিলেন অনেকে। এখন প্রশাসনের তৎপরতাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন শহরের সচেতন নাগরিকরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনের এমন ভূমিকা প্রত্যাশা করছেন তারা।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে আগেই সারাদেশের মার্কেট-দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু গত ১০ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত আসে। সেদিন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে দোকানপাট খুলেছে। তবে রাজশাহী শহরকে নিরাপদ রাখতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দফায় দফায় সভা করে সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও সদর আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা রাজশাহী নগরী সব মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানান। কিন্তু রাজশাহী নগরীর মার্কেটগুলো নানা কৌশলে খোলা হচ্ছিল।
সামাজিক দূরত্ব না মেনেই ব্যবসা করছিলেন দোকানীরা। নগরীর আরডিএ মার্কেটের প্রধান ফটক বন্ধ রেখে ভিতরে দোকান খুলছিলেন ব্যবসায়ীরা। গলিপথ দিয়ে মার্কেটেও যাচ্ছিলেন প্রচুর ক্রেতা। আবার সাহেববাজার কাপড়পট্টি এলাকায় দোকানের সাটার তুলে ক্রেতা ঢোকানোর পর সাটার নামিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। কেনাকাটা শেষ হলে সাটার তুলে বের করে দেওয়া হচ্ছিল ক্রেতাকে। রাস্তায়ও বের হচ্ছিল অজস্র মানুষ। রিকশা-অটোরিকশার যানজট দেখা দিয়েছিল শহরে। কোথাও সামাজিক দূরত্বের কিছুই মানা হচ্ছিল না।
এ অবস্থায় সোমবার বিকালে জেলা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় খাবার ও কাঁচাবাজার ছাড়া রাজশাহীর সব দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর মঙ্গলবার সকাল থেকেই মাঠে নামেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরাও মাঠে নামেন। তারা নগরীর সাহেববাজার এলাকার সব দোকানপাট বন্ধ করে দেন। ফুটপাত থেকে হকারদের তুলে দেওয়া হয়।
তবে সকাল থেকে প্রধান ফটকে পর্দা টানিয়ে ভিতরে দোকান খুলেছিলেন আরডিএ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রনী খাতুন সেখানে অভিযানে যান। এ সময় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত না করার অপরাধে ‘রাজ্জাক বস্ত্রালয়’ নামের একটি কাপড়ের দোকানকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন তিনি। এটি দেখে মার্কেটের অন্য ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে দেন।
জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলেন, জনসমাগম ঠেকানো যাচ্ছিল না বলেই জনস্বার্থে দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে অভিযান শুরু হয়েছে। রাজশাহীর সব উপজেলাতেও একইভাবে মার্কেট-দোকানপাট বন্ধ করা হচ্ছে। তবে কৃষিপণ্য, কাঁচাবাজার, ওষুধ, জরুরি সেবা ও খাবারের দোকান এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে বলেও জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
এই বিভাগের আরও খবর