ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে খুলনার উপকূলীয় এলাকা দাকোপের সুতারখালী, কালাবগী ও নলিয়ানের নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে ৪/৫ ফুট পানির উচ্চতায় এখানকার বেড়িবাঁধের বাইরের অংশে ঝুলন্তপাড়া নামক এলাকায় ৫ শতাধিক বাড়িঘর, মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে। এছাড়া জোয়ারের পানির চাপে কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
সুতারখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাছুম আলী ফকির জানান, বুধবার সকাল থেকে সুতারখালী কালাবগী এলাকায় স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় নদীর পানি ৪/৫ ফুট পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। এতে বেড়িবাঁধের বাইরের অংশের বাড়িঘর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন এখানকার মানুষ। বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে বাসিন্দাদের অনেকে আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়িতে ফিরে আসেন। তবে দুপুরের পরপরই তাদেরকে আশ্রয় কেন্দ্রে ফিরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।
এদিকে বুধবার বেলা ১১টার দিকে জোয়ারের প্রবল পানির চাপে পাইকগাছার সোলাদানা বয়ারঝাপা খেয়াঘাট এলাকায় বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এস এম এনামুল হকের নেতৃত্বে স্থানীয়রা বেড়িবাঁধে মেরামতের কাজ শুরু করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন