ময়মনসিংহ থেকে নিখোঁজের ১২ দিন পর গোপালগঞ্জ থেকে ইসরাত জাহান ইমাকে (২০) উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থানার বর্ণী ইউনিয়ন নামক স্থান থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। পরে আজ বুধবার সকালে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ। এই উদ্ধার কাজে নেতৃত্ব দেন কোতোয়ালী পুলিশের উপপরিদর্শক মাহমুদুল হাসান মাহবুব।
ইসরাত জাহান ইমার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার মহনগঞ্জ থানার চেংড়াখালী গ্রামে। ইমার বাবার নাম শাহজাহান এবং মা রহিমা বেগম।
জানা যায়, গত ৮ মে শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহে চাচার বাসা থেকে নিখোঁজ হন ইমা। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে পাওয়া না গেলে কোতোয়ালী থানায় জিডি করা হয়। যার জিডি নং ৫৮৪। এ ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের নির্দেশনায় অভিযানে নামে উপপরিদর্শক মাহমুদুল হাসান মাহবুবের নেতৃত্বাধাীন সঙ্গীয় ফোর্স। পরে পুলিশ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থানার বর্ণী ইউনিয়ন থেকে ইমাকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে উপপরিদর্শক মাহমুদুল হাসান মাহবুব জানান, থানায় নিখোঁজ জিডি করা হলে আমার উপর দায়িত্ব দেয়া হয়। আমি বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে দেশের সকল থানায় বেতার বার্তা প্রেরণ করি। নিখোঁজ ইমাকে ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে আশপাশের জেলায় খোঁজাখুঁজি অব্যাহত রাখি। এ ঘটনায় গত সোমবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ইমা তার মায়ের মোবাইল নাম্বারে ফোন দিয়ে বলে সে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আছে।
পরে নিখোঁজ ইমার মা আমাকে জানালে আমি সাথে সাথেই অফিসার ইনচার্জ স্যারকে অবহিত করি।অফিসার ইনচার্জের নির্দেশ মতে আমি সঙ্গীয় ফোর্সসহ গতকাল মঙ্গলবার ভোরে নিখোঁজ ইমার মা রহিমা বেগমসহ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা করি। টুঙ্গিপাড়ার থানা পুলিশের সহযোগিতায় এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সার্বিক চেষ্টায় ইমাকে উদ্ধার করি। পরে আজ সকাল ১০ টার সময় ইমাকে মা রহিমা বেগমের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল ইসলাম জানান, থানায় নিখোঁজ জিডির পর উদ্ধার অভিযান শুরু করি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে নিখোঁজের ১২ দিন পর গোপালগঞ্জ থেকে ইমাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন