শিরোনাম
- জুলাই সনদের ঐকমত্যের আইনানুগ বাস্তবায়নের আহ্বান বিএনপির
- আর্থিক খাতে জলবায়ু ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় নির্দেশিকা জারি
- দুই ভাইয়ের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ
- জরুরি প্রয়োজন ছাড়া চিকিৎসকদের বদলি-পদায়ন আপাতত বন্ধ
- জকসু’র খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ, মোট ভোটার ১৬৩৬৫
- আফগানিস্তানে ফের গোলাবর্ষণ পাকিস্তানের
- জবিতে প্রথমবর্ষের ভর্তি আবেদন শুরু ২০ নভেম্বর
- ইতালি যাওয়া হলো না সেই বিড়াল ক্যান্ডির
- শহিদুল আলমের মনোনয়নের দাবিতে সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিক্ষোভ সমাবেশ
- চীনের ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে আমন্ত্রণ পেলেন শাবির অধ্যাপক ইফতেখার
- মাদারীপুরে জাহানকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে মিছিল
- ৪৪তম বিসিএসের ফলাফল পুনঃপ্রকাশ
- লজিস্টিক নীতিমালা প্রণয়নে বিনিয়োগ ও রপ্তানিতে আসবে গতি : প্রেস সচিব
- নতুন রূপে ফিরছে ‘প্রিডেটর’, এবার দেখা যাবে বাংলাদেশেও
- যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারা দেশে আটক ১৯৪
- গাকৃবিতে ‘গমের ব্লাস্ট রোগ দ্রুত শনাক্তকরণ কিটের কার্যকারিতা যাচাই’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- প্রতিদ্বন্দ্বীর মায়ের দোয়া নিয়ে গণসংযোগ শুরু করলেন বিএনপি প্রার্থী আনিসুল
- ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৭৪৯ মামলা
- কিউ-এস র্যাংঙ্কিং: এশিয়ার শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিইউবিটি
- এনসিপির মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু, মূল্য ১০ হাজার টাকা
ইচ্ছে করে কোটি টাকার সড়কবাতি পুড়িয়েছেন রাসিকের কর্মী!
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন
কিছুদিন পর পরই রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন এলাকার সড়কবাতি পুড়ে যায়। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মীরা কর্তৃপক্ষকে জানায়, অতিরিক্ত ভোল্টেজের কারণে লাইটগুলো পুড়ে গেছে। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগ জানায় অতিরিক্ত ভোল্টেজ থাকে না। দীর্ঘদিন ধরে লাইটগুলো নষ্ট হওয়ার কারণই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে কারণ উদঘাটন হয়েছে।
সিটি করপোরেশন জানতে পেরেছে, সড়কবাতিগুলো ইচ্ছে করেই পুড়িয়েছেন খোদ তাদের এক কর্মী। তার নাম মিজানুর রহমান ওরফে শাহীন (৪০)। তিনি রাসিকের স্ট্রিট লাইট মিস্ত্রি পদে কর্মরত। ইচ্ছে করে সড়কবাতি পোড়ানোর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (১৯ মে) রাতে রাসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
এ মামলায় শাহীনের বিরুদ্ধে প্রায় কোটি টাকার সড়কবাতি ইচ্ছে করে নষ্ট করার অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত শাহীনকে গ্রেফতার করে বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। শাহীনের বাড়ি নগরীর নতুন বিলশিমলা এলাকায়। তার বাবার নাম খলিলুর রহমান।
রাসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল বলেন, দুটি কারণে শাহীন সড়কবাতি পোড়াতে পারেন। ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজস করে বার বার লাইটগুলো নষ্ট করা হতে পারে, যেন ঠিকাদার আবারও লাইট সরবরাহ করতে পারেন। এছাড়া আগের যে ঠিকাদার লাইট সরবরাহ করেছেন তার লাইটের মান খারাপ প্রমাণ করতে লাইটগুলো নষ্ট করা হতে পারে। এটি পুলিশ তদন্ত করবে।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, একই সড়কে বার বার লাইট নষ্ট হয়ে যাওয়ার কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। মিস্ত্রিরা বলছিলেন, অতিরিক্ত ভোল্টেজের কারণে লাইট পুড়ে যাচ্ছিল। আর বিদ্যুৎ বিভাগ বলছিল, অতিরিক্ত ভোল্টেজ ছিল না। বিষয়টি রহস্যজনক হওয়ায় গেল বছরের ১১ সেপ্টেম্বর নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ উদঘাটন করেছে যে লাইটগুলো ইচ্ছে করেই নষ্ট করতেন রাসিকের কর্মী শাহীন। তার এমন কাণ্ডের সাক্ষীও পাওয়া যায়। এরপর তাকে আটক করা হয়। পরে সিটি করপোরেশন তার বিরুদ্ধে মামলা করে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৪ মার্চ দুপুরে নগরীর কুমারপাড়া এলাকায় পাঁচটি এলইডি লাইট পোড়ানো হয়েছে। এরপর বিভিন্ন সময় রাজশাহী কলেজ থেকে ফায়ার সার্ভিস মোড় পর্যন্ত ১৫টি লাইট পোড়ানো হয়েছে। নগরীর কাদিরগঞ্জ বড় মসজিদের সামনে থেকে বর্ণালী মোড় পর্যন্ত লাইটগুলো তিন-চারবার পোড়ানো হয়েছে। শালবাগান থেকে বিজিবি গেট হয়ে আলিফ-লাম-মিম ভাটা পর্যন্ত লাইটগুলোও তিন-চারবার পোড়ানো হয়েছে। দেবিশিংপাড়া আরএইচ ছাত্রাবাস থেকে তালাইমারি মোড় পর্যন্ত লাইটগুলো পোড়ানো হয়েছে সাত-আটবার। পাঁচ-সাতবার পোড়ানো হয়েছে ডাবতলার মোড় থেকে তেরখাদিয়া পর্যন্ত রাস্তার লাইটগুলো। গোরহাঙ্গা কামারুজ্জামান চত্বর থেকে শিরোইল বাস টার্মিনাল পর্যন্ত রাস্তার লাইটগুলো পোড়ানো হয়েছে ১০-১২ বার।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, রাসিকের লাগানো লাইটগুলো ২৯০ ভোল্ট পর্যন্ত সহনশীল। সাধারণত প্রতিটি ফেজ ২২০ ভোল্ট সরবরাহ করে। কিন্তু মই লাগিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে উঠে মেইন ফেজের সঙ্গে আবাসিক ফেজ একসঙ্গে করে ৪৪০ ভোল্ট দিয়ে লাইটগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ মামলার সাক্ষীরা নিজে মিস্ত্রি শাহীনকে এ কাজ করতে দেখেছেন। তারা বাধা দিতে গেলে শাহীন বলেছেন, ওপরের নির্দেশ আছে। নতুন লাইট লাগানো হবে। এভাবে একটি চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে তিনি কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন। এতে একটি গোষ্ঠীর লাভ হয়েছে।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মন বলেন, কাউকে না কাউকে লাভবান করতেই রাসিকের মিস্ত্রি শাহীন ইচ্ছে করেই লাইটগুলো পুড়িয়েছেন। কার কথায় তিনি এমন করেছেন তার তদন্ত চলছে। মামলায় আপাতত শাহীনকেই আসামি করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় এই ক্ষতির পিছনে তার সঙ্গে যার যার সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাকেই আইনের আওতায় আনা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম
এই বিভাগের আরও খবর