বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
শিরোনাম
- সিরিজ শুরুর আগেই স্কোয়াডে পরিবর্তন অস্ট্রেলিয়ার
- বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে চলেছে ভারত: রিপোর্ট
- ক্লাব ফুটবলে নেই আগ্রহ, অন্য কিছুতে নজর ডাচ কোচের
- অনুপ্রেরণার আলো ছড়ালেন হৃতিক
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ১১০
- ফের দেশজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা
- ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি
- যৌন হয়রানি: শিক্ষকের শাস্তি না হওয়ায় নিজেকে জ্বালিয়ে দিলেন ছাত্রী
- সিনেমার প্রভাবে কেরালার স্কুলে আর নেই ব্যাকবেঞ্চার
- 'আর্থিক সংকটে' বন্ধ আল জাজিরা বলকানসের সম্প্রচার
- যশোরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
- পেন বাংলাদেশের নেতৃত্বে সামসাদ মোর্তুজা ও জাহানারা পারভীন
- দেশে সন্দেহভাজন বিদেশিদের আগমন বেড়েছে: মির্জা আব্বাস
- হবিগঞ্জে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
- খুতবার সময় হামলা, খতিব শঙ্কামুক্ত, হামলাকারী জেলহাজতে
- দেড় মাস পর বাংলাদেশির লাশ ফেরত দিল ভারত
- সোহাগ হত্যার ভিডিও না আসা পর্যন্ত সরকার কী করল-প্রশ্ন রুমিন ফারহানার
- ঢাকায় ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে বগুড়ায় বিক্ষোভ
- আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে জাবিতে মশাল মিছিল
- ২০৩০ বিশ্বকাপ ভেন্যুর তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহার মালাগার
পরিচয় গোপন করে বিয়ে, স্ত্রী-সন্তান ফেলে চিকিৎসক উধাও
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন

ধর্ম পরিচয় গোপন করে বিয়ে, সাত বছর সংসার, ছয় বছরের সন্তান ফেলে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে রাজশাহীতে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রবিবার রাজশাহী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে বাদী হয়ে এ মামলা করেন ভুক্তভোগীর মা নগরীর শিরোইল মাস্টারপাড়ার হাফিজুর রহমানের স্ত্রী রেহানা বেগম। অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম অর্জুন চন্দ্র চৌধুরী। তিনি সম্প্রতি এমবিবিএস পাস করেছেন।
অভিযোগ গ্রহণ করে রবিবার রাজশাহী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১-এর বিচারক মো. মনসুর আলম মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-কে তদন্ত করে পরবর্তী ধার্য তারিখে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন। মামলায় ডা. অর্জুন চৌধুরী ছাড়াও তার ভাই নকুল চন্দ্র চৌধুরীকেও আসামি করা হয়েছে। আসামি অর্জুন চন্দ্র চৌধুরী ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার কাজীপাড়া মহল্লার নির্মল চন্দ্র চৌধুরীর ছেলে। অর্জুন সম্প্রতি খুলনার একটি মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ৭ বছর আগে ডা. অর্জুন চন্দ্র চৌধুরী ধর্ম পরিচয় গোপন করে প্রতারণার মাধ্যমে বাদীর মেয়ে হামিদা খাতুন মৌমিতাকে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় অর্জুন চৌধুরী নিজেকে মুসলিম পরিচয় দিয়ে নকল জন্ম সনদ কাজীর দফতরে দাখিল করেন। কয়েক বছর একই পরিচয়ে মৌমিতার সঙ্গে ঘর-সংসার করেন। তাদের ছয় বছরের একটি সন্তান আছে। এরপর এ বছরের শুরুতে অর্জুন চৌধুরীর আসল পরিচয় জানাজানি হলে তিনি স্ত্রী ও সন্তান ফেলে পালিয়ে যান।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, ২০১৪ সালে ঢাকা থেকে ট্রেনযোগে রাজশাহী ফেরার সময় হাফিজুর রহমানের দশম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে হামিদা খাতুন মৌমিতার সঙ্গে পরিচয় হয়। অর্জুন মৌমিতাকে নিজের নাম অভি চৌধুরী বলে জানায়। ওই সময় মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দিতে রাজশাহী যাচ্ছিলেন অর্জুন। সেই পরিচয় সূত্রে পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ ঘনিষ্ঠ হয়। পরিচয় থেকে প্রেমে জড়ান তারা। অর্জুন মেডিকেল কলেজে পরীক্ষার পর খুলনার একটি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন।
২০১৯ সালের মাঝামাঝি অর্জুন এমবিবিএস পাস করেন। এরপর থেকেই তিনি মৌমিতা ও তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দেন। তাদের ছয় বছরের মেয়েটির সঙ্গেও আর যোগাযোগ রাখেননি অর্জুন।
মৌমিতা জানান, অর্জুন ২০১৯ সালের শেষের দিক থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দিলে বিষয়টি নিয়ে পরিবারে অসন্তোষ তৈরি হয়। এই সময়ে তিনি ফেসবুকে অর্জুন চন্দ্র চৌধুরী নামে একটি আইডির প্রোফাইলে তার স্বামী অভি চৌধুরীর ছবি দেখতে পান। এ সময়ে অর্জুনের ধর্ম পরিচয় নিয়ে তার সন্দেহ হয়। মৌমিতার এক ভাই খুলনার মেডিকেল কলেজে গিয়ে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হন যে, অভি চৌধুরীর আসল নাম অর্জুন চন্দ্র চৌধুরী এবং তিনি মুসলিম নন-সনাতন হিন্দু। এরপরই জরুরি বিষয় উল্লেখ করে অর্জুনকে রাজশাহীতে ডেকে পাঠান মৌমিতা।
এ বছরের ১ জানুয়ারি অর্জুন রাজশাহীতে শ্বশুর বাড়িতে আসেন। মৌমিতা তার আসল পরিচয় প্রকাশের দাবি করেন। এ সময়ও অর্জুন নিজেকে মুসলিম ও তার নাম অভি চৌধুরী বলে দাবি করে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার পর মৌমিতা কয়েক বার আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন। এরপর থেকে অর্জুন কাউকে কিছু না বলে আত্মগোপন করেন। এরপর থেকে তার সঙ্গে মৌমিতা বা তার পরিবারের কারো সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি অর্জুন।
মৌমিতার মা রেহেনা বেগম বলেন, অর্জুন নিজের ধর্ম পরিচয় গোপন করে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। এখন তারা সামাজিক ভাবে চরম বিড়ম্বনার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। পাশাপাশি তার মেয়ে মৌমিতা ছয় বছরের সন্তানটিকে নিয়ে শুধু কান্নাকাটি করছেন।
রাজশাহী পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ জানান, ঘটনা শুনে মনে হচ্ছে– এটি একটি পরিকল্পিত প্রতারণা। বিষয়টি খুব স্পর্শকাতর। মামলার নথি তাদের কাছে এখনও আসেনি। নথি হাতে পেলে আদালতের নির্দেশিত সময়ে প্রতিবেদন দেওয়া হবে বলে।
এই বিভাগের আরও খবর