১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাঙ্গালী জাতির জন্য একটি বিভীষিকাময় কালো অধ্যায়। ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ওই ভয়াল রাতে নিহত সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করার উদ্দেশ্যে এবং জাতির উপরে ১৫ আগস্টের যে বিরুপ প্রভাব সে সব বিষয় নিয়ে আলোকপাত করার লক্ষ্যে একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার ‘আমরাই ডিজিটাল বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’র উদ্যোগে এই ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়।
বিশেষ এই ওয়েবিনারের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ‘১৫ই আগস্টের ঘৃণ্য হত্যাযজ্ঞ ও জাতির উপরে এর প্রভাব’।
বিশেষ এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দিপু মনি এমপি।
বক্তব্যে তিনি ১৯৭৫ এর সার্বিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন এবং বর্তমানে আমাদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ১৯৭৫ এর বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি ৭৫ পরবর্তী দুঃসময়ের কথা তুলে ধরেন। তিনি আরো বলেন, এখন আমরা আবার বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে এগিয়ে চলছি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্য।
‘১৫ই আগস্টের ঘৃণ্য হত্যাযজ্ঞ ও জাতির উপরে এর প্রভাব’ অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ আইসিটি বিভাগ ইতোমধ্যেই বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বিভিন্ন ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করেছে এবং আরও ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এসব ডিজিটাল কনটেন্ট ছড়িয়ে দেবার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এ ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য বাংলাদেশ আইসিটি বিভাগের নানামুখী কাজ সম্পর্কে আলোকপাত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানের আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের সম্পর্কে তার মূল্যবান মতামত তুলে ধরেন।
এছাড়াও আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর ২১ আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।
সংসদ সদস্য এবং আমরাই ডিজিটাল বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা ১৫ আগস্টের ভয়াবহতা, নৃশংসতা, বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি ফাউন্ডেশনের কার্যকলাপ তুলে ধরেন।
ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য, অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু এবং বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হবার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
এশিয়ান ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ এইচ কাফি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের রায় কার্যকর, ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করা বিষয়ে তার নিজস্ব মতামত তুলে ধরেন এবং এখনও যারা চিহ্নিত হয়েও দেশের বাইরে অবস্থান করছেন তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে এই বিষয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুল্লাহ তুহিন ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েসন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য) এর সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান শরীফ।
এ ছাড়াও ওয়েবিনারে উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের ইসি মেম্বার রেজওয়ানা খান, মো. ইউসুফ খান, বরদা ভূষণ রায় লিটন, এ এইচ এম জাহিদুর রেজা চন্দন, মাহবুবুর রহমান, কামরুল হাসান ইমন, মো. ফখরুল হাসান শামীম।
অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কমিউনিকেশন্স স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড এবং ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ। সঞ্চালনায় ছিলেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসাইন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আছিয়া নীলা।
স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ ও সংগ্রামী জীবন, শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া এবং ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রত্যয়ের প্রধান প্রকৌশলী সজীব ওয়াজেদ জয়ের স্বপ্নদর্শী নেতৃত্ব ও দেশকে উন্নত এবং সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে ও 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' বিনির্মাণে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগসহ ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলো মানুষের মধ্যে তুলে ধরা এবং ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের জীবন মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে ‘আমরাই ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ফাউন্ডেশনটি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন