গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আজকে দেশবাসী চায় আমরা রাস্তায় দাঁড়াই। আমাদের রাস্তায় দাঁড়াতে দেখলে তারা প্রথমদিন, দ্বিতীয় দিন না আসলেও তৃতীয় দিন ঠিকই আমাদের পাশে এসে দাঁড়াবে। তারা অবশ্যই আসবে। এই কথাটা প্রধানমন্ত্রী জানেন, কিন্তু তিনি বিশ্বাস করেন না।
আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে তৃতীয় তলায় “জাতীয় স্মরণ মঞ্চ” আয়োজিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ডা. এমাজউদ্দিন আহমেদ স্মরণে নাগরিক শোকসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় স্মরণ মঞ্চের সভাপতি প্রকৌশলী আ হ ম মনিরুজ্জামান দেওয়ান মানিকের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিশিষ্ট সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য কবি আবদুল হাই শিকদার, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ডাকসুর সাবেক জি এস খায়রুল কবির খোকন, ডাকসুর সাবেক এজিএস নাজিম উদ্দীন আলম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, সাংবাদিক নেতা দিদারুল ইসলাম প্রমুখ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির উদ্দেশ্যে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, তরুণদের দিয়ে বিএনপির কাউন্সিল মিটিংটা করান। তারা মার খেয়েছে, তারা রাস্তায় দাঁড়াবে। তাদের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে নিতে হবে। এখন খালেদা জিয়ার অবশ্যই কথা বলতে হবে। আজকে হাইকোর্টে ঘেরাও দিতে হবে। সবার জামিন হয়, ফাঁসির আসামির জামিন হয়, খালেদা জিয়ার জামিন হয় না। এমাজউদ্দিনের সাহেব তার জ্ঞানের আলোয় সবাইকে আলোকিত করতে চেয়েছেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আলোটা আমাদের রাজনীতিবিদদের অন্তরে প্রবেশ করে নাই।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এমাজউদ্দিন আহমেদরা কিছু পাওয়ার লোভে কিংবা ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে পারবেন এই সব চিন্তা করে কোন কাজ করেন না। তারা ন্যায়ের পক্ষে সব সময় কাজ করতেন, মানুষের চিন্তা, মনন ও বিবেককে জাগ্রত করতে কাজ করতেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারলেই এমাজউদ্দিন আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো সম্ভব হবে।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, এমাজউদ্দিন আহমেদ আমাদের জাতীয় জীবনের বাতিঘর ছিলেন। তার জীবনাচরণ যদি আমরা অনুকরণ করতে পারি তাহলে জাতি হিসাবে আমরা উন্নতি করতে পারব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ কোন দিন তার পক্ষপাতিত্ব নিয়ে প্রশ্ন করতে পারবেন না।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা অনিয়ম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত দাবি করে তিনি বলেন, এখনকার ভিসিরাই কেউই এমাজউদ্দিনের মতন হতে পারবে না।
এমাজউদ্দিন আহমেদ সম্পর্কে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, তিনি অনেক সাহসী একজন মানুষ ছিলেন। তিনি প্রমাণ করে গেছেন, সাহসী হতে হলে বয়স কোন বিষয় না। জাতীয় সকল ক্রান্তি লগ্নে তিনি সব সময় ভূমিকা রেখেছেন। এই কারণে এই বুড়ো বয়সেও তাকে মিথ্যা মামলার শিকার হতে হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা