দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার আহত ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলাকারি উপজেলা যুবলীগের সদস্য (বহিষ্কৃত) আসাদুল হককে (৩৫) রমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অসুস্থ বোধ করায় শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে ভর্তি করে র্যাব। সেখানে র্যাবের প্রহরায় তার পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে অপর দুই আসামি নবিরুল ও সান্টুসহ তাদের শনিবার দুপুরে ঘোড়াঘাট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এদিকে ইউএনও’র বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, আসাদুল শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার দেহ পরীক্ষা নিরিক্ষার পর শনিবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি ইউএনও’র বাবার প্রসঙ্গে বলেন, আমরা তার কেবিনে জনসমাগম কমিয়ে দিয়েছি। সাংবাদিকসহ সকলের বিষয়ে একটু কড়াকড়ি করা হয়েছে। আমাদের চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসা দিচ্ছেন। আমরা তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছি। আগের চেয়ে তিনি অনেকটাই ভালো। বয়স্ক হওয়ায় তাকে বিশ্রামে রাখা হয়েছে।
রংপুর র্যাব ১৩ অধিনায়ক রেজা আহমেদ ফেরদৌস জানান, আসাদুলের শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য রমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চেকআপ শেষে গ্রেফতারকৃত অপর দুই আসামী নবিরুল ও সান্টুসহ তাদের ঘোড়াঘাট থানায় থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি।
শুক্রবার রাতে র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, দিনাজপুরের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে আসাদুল, নবীরুল ও সান্টুকে গ্রেফতার করা হয়। ইউএনও ওপর হামলার দায় স্বীকার করেছে গ্রেফতারকৃত ৩ আসামি। চুরির উদ্দেশ্যে তারা এই হামলা চালায় বলে র্যাব জানায়।
উল্লেখ্য, গত বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের সরকারি বাসভবনে সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হন ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল