পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, পরিবেশ সংরক্ষণে প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতাকর্মী শকুনের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু দিন দিন এ উপকারী পাখিটি প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। বিলুপ্তপ্রায় এ শকুনকে বাঁচাতে গণসচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার শকুন সংরক্ষণে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এটি সফল করতে নিজ নিজ স্থান থেকে আমাদের সবাইকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। বর্তমানে দেশে ২৬০টি শকুন আছে। তাই সরকার শকুনের সংখ্যা বাড়াতে কাজ করছে।
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস উপলক্ষে বন অধিদপ্তর আয়োজিত ওয়েবিনারে সরকারি বাসভবন থেকে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, ২০১৩ সালে ‘বাংলাদেশ জাতীয় শকুন সংরক্ষণ কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। ২০১৪ সালে দেশের দু’টি অঞ্চলকে শকুনের জন্য নিরাপদ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৬ সালে ১০ বছর মেয়াদি (২০১৬-২০২৫) বাংলাদেশ শকুন সংরক্ষণ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে, যা দেশের শকুন রক্ষা করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি কাঠামো হিসেবে কাজ করছে। এ কর্মপরিকল্পনাকে অগ্রাধিকার দিয়েই শকুন সংরক্ষণে বর্তমানে সব ধরনের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
সভায় জানানো হয়, এ পর্যন্ত ৯৩টি হিমালয়ান গ্রিফন প্রজাতির শকুন উদ্ধার, পরিচর্যার পর পুনরায় প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হয়েছে। ২০১৭ ও ২০১৯ সালে দেশে সপ্তম ও অষ্টম আঞ্চলিক পরিচালনা কমিটির সভায় শকুন সংরক্ষণে বিভিন্ন কার্যকরী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, যা বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার শকুন সংরক্ষণের জন্য একটি মাইকফলক।
বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনলাইন ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপ-মন্ত্রী হাবিবুন নাহার, মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান ও অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ড. মো. বিল্লাল হোসেন বক্তব্য রাখেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন