পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বিএনপির উদ্দেশে বলেছেন, সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে লাভ হবে না। সামনে উপনির্বাচনগুলোতে নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। দেশের মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল। আর সরকার পরিবর্তন চাইলে আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
আজ দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জনতার প্রত্যাশা আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, মীরজাফররা সারাজীবন মীরজাফরই হয়ে থাকে। জিয়াউর রহমান ছিলেন জাতির পিতার হত্যার নেপথ্যের নায়ক। তিনিই বাঙালির মীরজাফর। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে সামরিক শাসক জিয়া-এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করে দলকে ঐক্যবদ্ধ করে ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসেন। এরপর ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন বলেই টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় রয়েছে। দেশের মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। বিএনপির ডাকে সাড়া দেবে না। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য করে। সে কারণে ভোট পায় না। দলের কর্মীদের মূল্যায়ন করে না। সে কারণে নির্বাচনের আগের দিন সরে দাড়ায়। সামনে ৫ টি উপনির্বাচন হচ্ছে, এ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে, আমি তাদের স্বাগত জানাই। আর বলতে চাই, নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। তারপর সরকার পতনের জন্য জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ছাড়া বাংলাদেশ চিন্তা করা যায় না। বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল বলেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। ভারতের মহাত্মা গান্ধী কংগ্রেস সৃষ্টি করেননি, তিনি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন, পাকিস্তানের জিন্নাহ মুসলিম সৃষ্টি করেননি, যোগ দিয়ে স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। সে কারণে জাতির পিতা হতে পেরেছেন। অন্যদিকে ভিন্ন ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি নিজ হাতে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ সৃষ্টি করে ধীরে ধীরে জনমত সৃষ্টি করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন। বঙ্গবন্ধু যা বলতেন, বাঙালি জাতি তাই শুনতেন।
শেখ হাসিনাকে মানবতার মা উল্লেখ করে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এনামুল হক শামীম বলেন, বিএনপি যখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় তখন শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে ২০০৪ সালে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং হাওয়া ভবনের তারেক রহমানের নিদের্শে এই হামলা পরিচালনা করা হয়। খালেদা জিয়া যখন শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন, তখন দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে বিশেষ ক্ষমতাবলে জামিন দিয়েছেন শেখ হাসিনার সরকার। তাই মানবতার মা শেখ হাসিনার কারণেই খালেদা জিয়ার জামিনের সময় সীমা দ্বিতীয় মেয়াদে বাড়ানো হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি এমএ করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একেএম আবদুল মোমেন। বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান খান, নুরুল আমিন রুহুল এমপি, কৃষক লীগের সাবেক সহ সভাপতি শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, মুক্তিযাদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, ইউএস আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাদেক খান, জাতীয় মুক্তিযাদ্ধা সমন্বয় পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আকরাম হোসেন, জনতার প্রত্যাশার মশিউর রহমান, রোকন উদ্দিন পাঠান প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন