নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান উপস্থিত সন্তানতুল্যদের প্রতি দুটি হাদীসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, মায়ের একটি কষ্টের নিঃশ্বাস ৮ দোজখের চেয়েও ভয়াবহ। আর একটি সুখের হাসি ৭ বেহেস্তের সমান। অপর আরেকটি হাদীস হলো- রসূল (সা:) আল্লাহর কাছে দুইহাত তুলে দোয়া করে বলেছেন, হে আল্লাহ আমাকে শাস্তি দিও না। আমি যদি আমার মনের অজান্তে কোন মুমিন বান্দাকে কষ্ট দিয়ে থাকি আমাকে ক্ষমা করে দিও। তাই সবার উদ্দেশ্যে বলছি, আমরা রাজনীতি করি। একটি দলও করি। একটি নির্দিষ্ট লিমিট থেকে কথা বলতে হয়। কোন সময় এমন কিছু বলতে হয় যা বলা উচিত নয়। আবার এমন কিছু বলা দরকার। কিন্তু বলতে পারি না। আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলি আমি, আমার বাবা, মা, ভাই বোন সন্তান পরিবারের কেউ কারো কাছ থেকে যদি কোন কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আমাদের দয়া করে ক্ষমা করে দিবেন।
শনিবার বিকালে শহরের মাসদাইর কবরস্থান মসজিদে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক, ভাষা সৈনিক ও স্বাধীনতা পদকে (মরণোত্তর) ভূষিত প্রয়াত জননেতা একেএম শামসুজ্জোহার ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমি আলেম ওলামাদের বিশেষ সম্মান করি। কেননা আমি যখন নারায়ণগঞ্জ থেকে পতিতা পল্লী উচ্ছেদ করতে চেয়েছিলাম। এই আলেম ওলামারা আমার পাশে দাঁড়িয়েছিল। তাই সবাইকে বলব কেউ তাদের অসম্মান করবেন না। আমি হাদীস শুনেছি যারা আলেম ওলামাদের সম্মান করে না তারা রসুলের উম্মত নন।
তিনি বলেন, কবরস্থানে মাঝে মধ্যে একা একা আসি। চুপি চুপি আসি। শুধু হুজুররা দেখে। তাদের সাথে কথা বলি। এই কবরস্থানে অনেক কোটিপতি ও ক্ষমতাবানরা শুয়ে আছেন। কেউ থাকতে পারবেন না। কষ্ট হয় এই কবরস্থানে একটি মাদরাসা ছিল। এখানে কোরআন পড়ানো হতো। কবর জিয়ারত করতে আসলে ওই মাদরাসায় এসে বসতাম। সারাক্ষণ কোরআন তেলওয়াত হত। কবরস্থানবাসি হয়ত শান্তি পেত। কিন্তু সেই মাদরাসাটি আর নেই।
তিনি উপস্থিত সবাইকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, নারায়ণগঞ্জে বহু উন্নয়ন কাজ হবে। যা আপনারা কল্পনাও করতেও পারবেন না। হার্ট সেন্টার হচ্ছে। ডাবল রেলরাইন, ডিএনডি প্রজেক্ট, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জহ পাগলা পুরাতন সড়ক প্রশস্থ, নারায়ণগঞ্জ টু আদমজী রেললাইন সড়কসহ বহু কাজ পাস করিয়েছি।
তিনি নেককার মৃত্যু আশার করে বলেন, আমি আপনাদের কাছে শুধু এতটুকু দোয়া চাই যে আমার মত্যু যেন নেককার ও খুশির মৃত্যু হয়। আমি যেন মানুষের দোয়া ও খুশি নিয়ে মরতে পারি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন
