খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) নাহিদ হাসান মৃধার বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে মারপিটের অভিযোগে মামলা করেছেন তার স্ত্রী। মঙ্গলবার রাতে নির্যাতনের শিকার নাহিদের স্ত্রী আঁখিমুনা বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (গ) ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।
জানা যায়, ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার চন্দ্রপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মনিরুজ্জামান পাইকের মেয়ে আঁখিমুনার সঙ্গে বিয়ে হয় মোরলগঞ্জ উপজেলার শ্রেণিখালি গ্রামের কাদের মৃধার ছেলে নাহিদ হাসান মৃধার। বিভিন্ন সময় শশুরালয় থেকে ৭ লাখ টাকা দেয়া হয় নাহিদ হাসানকে। তার পরও যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী আঁখিমুনাকে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করে আসছে নাহিদ। সম্প্রতি জমি কেনার জন্য শশুরের কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা এনে দিতে চাপ দেয় স্ত্রীকে। সবশেষ গত ১ মার্চ রাতে নাহিদ হাসান তার স্ত্রীকে বেদম মারপিটসহ হত্যার চেষ্টা করে। নিকটাত্মীয়ারা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করে। এ ঘটনায় স্বামীর অত্যাচার থেকে রক্ষা ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশ কমিশনারের নিকট আবেদন করেন ভুক্তভোগী আঁখিমুনা। তাদের ঘরে নিহাদ নামের ৫ বছরের ছেলে রয়েছে।
এর আগে ৭ মার্চ জানা যায়, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) এর এসআই সফুরা খাতুন ঘটনার তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটি দায়ের হয়।
খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাক আহমেদ জানান, নগর গোয়েন্দা শাখার ইন্সপেক্টর নাহিদ হাসান মৃধার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে তার স্ত্রী আঁখিমুনা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ