কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুরে যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন লাগার ঘটনায় দগ্ধ অন্তত ১৪ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে একই পরিবারের রয়েছেন সাত জন ও অন্য এক পরিবারের রয়েছেন তিন জন। গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চলন্ত ওই বাসে আগুন লাগে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে দগ্ধ সাত জনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিউটে নিয়ে আসা হয়। পরে আরও সাত জনকে ভর্তি করা হয় এই হাসপাতালে।
দগ্ধরা হলেন- উজ্জল মিয়া (৪০), উজ্জলের মা শামসুন্নাহার (৬৫), স্ত্রী মোহসিনা বেগম (৩৮), শ্বশুর আব্দুর রহিম (৬৫), শাশুড়ি হালিমা খাতুন (৫৫) এবং দুই মেয়ে তাহিয়া (১০) ও তাসনিয়া (৬)। শাহিনুর আক্তার (৩২), তার মেয়ে আসমাউল হাসনা সানজানা (১৩) ও শাহিনুরের বাবা গোলাম হোসেন (৭৫)। মিজানুর রহমান (৫৫), ওমর ফারুক (৫১), নুরুল ইসলাম (৬৫) ও মনসুর আহমেদ (২৩)।
দগ্ধ উজ্জল জানান, তিনি একটি ব্যাংকে চাকরি করেন। তার স্ত্রী মোহসিনা মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্স। তারা মতিঝিল ব্যাংক কলোনিতে থাকেন। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দিতে। পরিবার নিয়ে দেশের বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে ওই বাসের আগুনে তারা পরিবারের সবাই দগ্ধ হয়েছেন। তার বাবা রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
দগ্ধ শাহিনুর জানান, তাদের বাড়ি চাঁদপুর জেলার মতলবে। রাজধানী ঢাকার জিগাতলায় থাকেন তিনি। তার বাবা গোলাম হোসেন বেশকিছু দিন ধরে অসুস্থ। তার চিকিৎসা করিয়ে গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎ বাসে আগুন লাগলে তারা তিন জনই দগ্ধ হয়েছেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের মেডিকেল অফিসার ডা. সুলতান মাহমুদ জানান, কুমিল্লার বাসে আগুনের ঘটনায় মোট ১৪ জন রোগী এখন পর্যন্ত পেয়েছি। তাদের মধ্যে গোলাম হোসেন নামের একজনের শরীরের ৩১ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে আইসিউতে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বাকি সবাইকেও পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত