বরিশাল নগরীর আলেকান্দা ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের রিফিউজি কলোনি এলাকায় বিসিসি’র পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের কঠোর বিচার দাবি করেছেন নিহতের পরিবার।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বরিশাল প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার দাবি করেন তারা।
নিহত ওই যুবকের নাম মো. আমির গাজী (২৪)। তিনি নগরের আলেকান্দা রিফিউজি কলোনি এলাকার আলতাফ গাজীর ছেলে এবং সিটি কর্পোরেশনের একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ২৬ জানুয়ারি একটি মোটরসাইকেলকে কেন্দ্র করে নগরীর চিহ্নিত কিশোর সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে আহত করে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ মার্চ রাতে তার মৃত্যু হয়।
লিখিত বক্তব্যে নিহত যুবকের বাবা আলতাফ গাজী বলেন, তার একমাত্র ছেলে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং তার কবুতর ও পাখির একটি দোকান ছিল। ব্যবসায়ীক প্রয়োজনে একটি মোটরসাইকেল ব্যবহার করতেন তিনি। গত ২০ জানুয়ারি তার মোটরসাইকেলটি চুরি করে একদল কিশোর। খবর পেয়ে তার ছেলে ২৬ জানুয়ারি নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপাড়ার মো. আসাদুজ্জামান বাদশার ওয়ার্কশপে গিয়ে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলটি দেখতে পায়।
এসময় কয়েকজন কিশোর মোটরসাইকেল লক আছে জানিয়ে মেরামত করে দেওয়ার কথা বলে সময়ক্ষেপণ করে। একপর্যায়ে তারা তাকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। প্রথমে তাকে ভর্তি করা হয় শের-ই বাংলা মেডিকেলে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৪ মার্চ রাত সাড়ে ৮টার তার মৃত্যু হয়।
আহতের ঘটনায় তার মা খাজিদা বেগম সাতজনকে আসামি করে বরিশাল কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করলেও তারা বর্তমানে জামিনে রয়েছে। পরে মৃত্যুর পর গত ৪ এপ্রিল তার মা খাদিজা বেগম বাদী হয়ে বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আমির গাজীর বাবা আলতাফ গাজী, মা খাদিজা বেগম, বোন জোনাকি ইসলাম আকন, নানি জোহরা বেগম, ফুপাতো ভাই সুজন ও চাচাতো ভাই মো. খায়রুলসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই