শিরোনাম
১১ এপ্রিল, ২০২১ ২০:২৫

নগর বস্তিবাসীর সমস্যা সমাধানে ‘হেল্প-ডেস্ক’

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগর বস্তিবাসীর সমস্যা সমাধানে ‘হেল্প-ডেস্ক’

নগর দরিদ্র ও বস্তিবাসীদের সমস্যা সমাধানে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে হেল্প ডেস্ক গঠন করা হয়েছে। এই হেল্প ডেস্কে নগরের দরিদ্র ও বস্তিবাসীরা উপস্থিত হয়ে তাদের সমস্যার কথা জানাতে পারবেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে আজ রবিবার হেল্প-ডেস্ক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই ওয়ার্ডে বসবাসকারি বিভিন্ন বস্তিবাসী ও স্বল্প আয়ের বাসিন্দারা উপস্থিত থেকে তাদের সমস্যার কথা সরাসরি ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সাথে আলোচনা করেন। ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিন্নত আলী স্বল্প আয়ের বাসিন্দাদের সমস্যা কিছু সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান করেন এবং অন্যান্য সমস্যা সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন।

ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য ‘হেল্প-ডেস্ক’ প্রক্রিয়া একবারেই নতুন পদ্ধতি। মাসের এক বা একাধিক একটি নির্দিষ্ট দিনে ওয়ার্ড কাউন্সিলর শুধুমাত্র স্বল্প আয়ের মানুষদের সাথে বসবেন এবং তাদের সমস্যা সমাধান করবেন। জাতীয় ভিত্তিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) এবং সলিডারিটিস ইন্টারন্যাশনালের (এসআই) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘স্লাম-বেইজড্ সিটিজেন এ্যাকশন নেটওয়ার্ক (স্ক্যান)’ প্রকল্পের আওতায় এই প্রক্রিয়া ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৮টি ওয়ার্ডে চালু হয়েছে। দাতাসংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ প্রকল্পেআর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা দিচ্ছে।

এই হেল্প-ডেস্ক থেকে এলাকার স্বল্প আয়ের নাগরিকদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনে দ্রুত এলাকায় মশার ঔষধ ছিটানো, এলাকার ড্রেন পরিস্কার ও বিসুদ্ধ খাবার পানির সরবরাহসহ সমস্যাগুলির তাৎক্ষনিক সমাধান করা হয়।

ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিন্নত অলী বলেন, হেল্প-ডেস্ক প্রথাটি চালু হওয়ার ফলে দরিদ্র মানুষদের সাথে সরাসরি আলোচনা করতে পারছি। তাদের অনেক সমস্যা যা তারা কখনই বলতে পারতো না, আজ তারা সরাসরি উপস্থিত থেকে আমাকে জানিয়েছে। আমিও যথা সম্ভব সমাধানের চেষ্টা করেছি। একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার ওয়ার্ডে সকল শ্রেণী-পেশার বাসিন্দা আমার কাছে সমান। কিন্ত দরিদ্র জনগোষ্ঠি সব সয়ম আসার সুযোগ করতে পারে না। তাই এই হেল্প-ডেস্ক প্রথা চাল হওয়ায় তাদের যেমন সুবিধা হয়েছে, আমিও সাধারণ জনগণের সমস্যার কথা জানতে পারছি। আমার ওয়ার্ডে এই হেল্প-ডেস্ক চালু করার উদ্যোগ নেয়ার জন্য আমি রিক সংস্থাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

রিকের প্রকল্প সমন্বয়কারী এস. এম. এ. মুঈদ বলেন, নগরের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠি বিশেষ করে বস্তিবাসিরা পানি, পয়:নিস্কাশন, বর্জ্য অপসারণসহ সবধরনের নাগরিক সেবা চাহিদা অনুযায়ী পায় না। অন্যদিকে সেবা প্রদানকারীরাও দরিদ্র মানুষদের প্রতি কিছুটা কম সহনশীল। আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় নগর দরিদ্রদের সমস্যা জানানোর জন্য একটি প্লাটফর্ম তৈরীর উদ্যোগ নিয়েছি। আর এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে‘হেল্প-ডেস্ক’ প্রথা চালু করা হয়েছে।

হাজারীবাগ বস্তির বাসিন্দা সালেহ হেসেন বলেন, এই হেল্প-ডেস্ক চালু হওয়ার ফলে আমরা এখন আমাদের যে কোন সমস্যার কথা বলারএকটা জায়গা পেয়েছি। আমরা আশাবাদি মাননীয় কাউন্সিলর নিয়মিতভাবে আমাদের কথা শুনবেন এবং সমস্যার সমাধান করবেন।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল/তমাল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর