৮ মে, ২০২১ ০২:৩৭

বরিশালের ঈদ বাজারে উপচে পড়া ভিড়

রাহাত খান, বরিশাল

বরিশালের ঈদ বাজারে উপচে পড়া ভিড়

নগরীর চকবাজারে এবারের ঈদের কেনাকাটার দৃশ্য।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উপেক্ষা করে বরিশালের ঈদ বাজারে কেনাকাটার ধুম পড়েছে। ক্রেতাদের অধিকাংশ মাস্ক পরলেও দোকানিদের দেওয়া হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার কিংবা শারীরিক দূরত্ব একেবারেই মানছেন না কেউ। করোনা সংক্রমণ হতে পারে ধরে নিয়েই ঈদের কেনাকাটা করছেন তারা।

বিক্রেতারা বলছেন, সরকারের স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের সব চেষ্টাই করছেন। কিন্তু কেউ শুনছেন আবার কেউ শুনছেন না তাদের কথা। এক্ষেত্রে নিরুপায় তারা।

এদিকে, ঈদ বাজারের ভিড় সামলাতে না পাড়লে সবাইকে মাস্ক ব্যবহারে বাধ্য করতে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন। নিজের স্বার্থেই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল পরিস্থিতি। ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের শর্তে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দোকান-শপিংমল খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু ক্রেতাদের ভিড়ে স্বাস্থ্যবিধি উবে গেছে।

সবচেয়ে বেশি ভিড় হচ্ছে নগরীর চকবাজার, কাঠপট্টি, হেমায়েত উদ্দিন রোডসহ সদর রোডের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শপিংমলগুলোতে। গরিবের ঈদ বাজার হিসেবে পরিচিত হাজী মহসিন হকার্স মাকেট, সিটি হকার্স মার্কেট এবং জেলা পরিষদ পুকুর পাড়ের খোলা উন্মুক্ত স্থানেও প্রচুর ভিড় দেখা গেছে।

ক্রেতাদের একাংশ মাস্ক ব্যবহার করলেও অনেককে মাস্কবিহীন কেনাকাটা করতে দেখা গেছে। এমনকি নাবালক শিশুদের নিয়েও ঈদের কেনাকাটা করতে দেখা গেছে। ক্রেতাদের ভিড়ে শারীরিক দূরত্ব এখন কাগুজে সরকারি আদেশে পরিণত হয়েছে। তবে আগের বছরের চেয়ে এবারের ঈদ বাজারে সকল পণ্যের বাড়তি দাম রাখার অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা।

নগরীর চকবাজারের অভিজাত শাড়ি প্রতিষ্ঠান ময়ুরীর মালিক মো. হানিফ শেখ জানান, করোনা সংক্রমণের ভয় তাদেরও আছে। এজন্য মাস্ক ছাড়া কাউকে দোকানে ঢুকতে দিচ্ছেন না তারা। দোকানের সামনে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু কেউ হাত ধোয়ায় আগ্রহ দেখাচ্ছে না। শারীরিক দূরত্ব রক্ষা করতে বললেও অনেকে শুনছেন না। স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার অনুরোধ কেউ কেউ ভালোভাবে নিলেও অনেকে বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না। তবে বলার কাজ বলে যাচ্ছেন তারা।

ঈদ বাজারে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় প্রতিনিয়ত অভিযান চালাচ্ছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিশাত ফারাবী বলেন, ঈদ বাজারে ভিড় সামলানো যাচ্ছে না। তবে যাতে অন্তত সবাই মাস্ক ব্যবহার করে সেই চেষ্টা করছেন তারা। নিয়মের ব্যত্যয় হলে নিচ্ছেন আইনগত ব্যবস্থা।

এদিকে, করোনা সংক্রমণ এড়াতে নিজেদের স্বার্থেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার। এজন্য সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

তবে সরকার সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ঈদ বাজার খোলা রাখার নির্দেশ দিলেও বরিশাল নগরীর চকবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় গভীর রাত অবধি চলছে ঈদের কেনাকাটা।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর