রংপুরে পশুর হাট বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতারা রয়েছেন সংকটে। খামারি ও ক্ষুদ্র গরু ব্যবসায়ীরা চাচ্ছেন দ্রুত গরু বিক্রি করতে। তবে ঈদের আগে গরুর হাট চালু হবে কি না এবং দাম বাড়বে না কমবে তা নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে চলছে হিসাব-নিকেষ।
এদিকে, রংপুরে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে অনলাইনে ১১টি পশুর হাট চালুর উদ্যোগ নিয়েছে প্রাণি সম্পদ বিভাগ। ‘পশুরহাট’ নামে একটি অনলাইন পেজ খোলা হলেও এখন পর্যন্ত সাড়া মিলেনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রংপুর জেলায় ছোটবড় মিলিয়ে অর্ধশত গরুর হাট রয়েছে। এর মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছে বড় ৪টি। এসব হাটে প্রচুর গরু বিক্রি হয়। করোনা সংক্রমণ রোধে গত রবিবার থেকে হাটগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। করোনার কারণে এলাকার খামারিরা চাচ্ছেন দ্রুত তাদের পশু বিক্রি করতে। ক্রেতাদের মধ্যে অনেকে আগে ভাগে কোরবানির গরু কিনতে চায় কিছু কম দামে। কিন্তু এবার হাট বন্ধ থাকায় সেটাও করতে পারছেন না অনেক ক্রেতা।
অপরদিকে, পশু মালিকরা বেশি দাম পাওয়ার আশায় বসে রয়েছেন। তাদের মতে, ঈদের আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সামনে আরও অনেক হাট পাওয়া যাবে, সে সময় বেশি দামে বিক্রি করতে পারবে। তবে বিক্রেতাদের কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন ঈদের আগে পশুর দাম কমে যেতে পারে।
রংপুরের বড় বড় পশুর হাটগুলো হচ্ছে, লালবাগ, বুড়িরহাট, তারাগঞ্জ, পাগলাপীরহাট, বড়াইবাড়িহাট, চৌধুরানির হাট, নজিরেরহাট, পাওটানাহাট, কান্দিরহাট, সৈয়দপুরহাট, দেউতি, মিঠাপুকুর, বৈরাতি, জায়গিরহাট, শঠিবাড়ি, বালুয়াহাট, মাদারগঞ্জহাট, ভেন্ডাবাড়িহাট ইত্যাদি।
জেলার কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ মাহামুদুল হাসান, নগরীর রবাটসনগঞ্জ পাটবাড়ি এলাকার হজরত আলী, রবিউল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন খামারি জানান, করোনার কারণে গরু আগে ভাগে বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা কিভাবে গরু বিক্রি করবেন তা চিন্তিত রয়েছেন। গরু বিক্রি করতে পারলেও ন্যায্য দাম পাবেন কিনা এ নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন। গরুর দাম বেশি হবে না কমে যাবে তারা তা বুঝতে পারছেন না। একই অবস্থা ক্রেতাদের বেলায়। তাদের অনেকেই আগাম গরু কেনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিলেও এখন সেটা সম্ভব হচ্ছে না।
রংপুর প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা সিরাজুল হক জানান, করোনার কারণে খামারিরা হাটে যেতে না পারলে তাদের জন্য অনলাইন পশুর হাট খোলা হচ্ছে। অনলাইন হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা তাদের পছন্দ অনুযায়ী কোরবানির গরু কেনাবেচা করতে পারবেন। তিনি আশাবাদি অনলাইন হাটে সারা পাবেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন