বরিশালে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর ভেঙে যাওয়াসহ সার্বিক বিষয় তদন্তে পৃথক তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘর নির্মাণে গাফিলতিতে দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে রিপোর্ট দিতে এই কমিটিগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার দুপুর ২টায় বরিশাল সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল।
তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে বরিশাল বিভাগে ৬ হাজার ৮৮টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪ হাজার ৪৫৭টি ঘর এবং জমি দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে। এ ছাড়া আরও ২ হাজার ৬৯০টি নির্মাণাধীন রয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জে ১৪টি এবং ভোলার দৌলতখানে ১২টি ঘর সাম্প্রতিক ইয়াসের পানির প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঘরগুলো নির্মাণে কোনো ত্রুটি হয়েছে কি না এবং ত্রুটি হয়ে থাকলে কে বা কারা দায়িত্বে অবহেলা করেছে সেগুলো অনুসন্ধান করার জন্য বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে ১টি এবং বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে পৃথক ২টি কমিটি গঠিত হয়েছে।
মেহেন্দিগঞ্জে ঘর ভেঙে যাওয়ার ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারকে প্রধান করে গত ৭ জুলাই তদন্ত কমিটি করেছেন বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল।
অপরদিকে বরিশাল জেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণসহ সার্বিক বিষয় তদন্তে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের প্রধান করে শনিবার ১০ উপজেলার প্রতিটিতে একটি করে কমিটি হয়েছে। এদিকে নির্মাণ ত্রুটি কিংবা অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে একই দিন জেলায় ৩ সদস্যের একটি টেকনিক্যাল কমিটি করা হয়েছে। গঠিত এসব কমিটিকে ৭ কার্য দিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।
এ সময় বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ছাড়াও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শহীদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রাজিব আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে করোনা সংক্রামণ রোধে লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান বিভাগীয় কমিশনার।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ