রংপুরের শ্যামপুর সুগারমিলে উৎপাদন বন্ধ থাকলেও রয়েছে শ্রমিক-কর্মচারী। কিন্তু ৫ মাস থেকে তাদের বেতন নেই। রবিবার দুপুরে বেতন ভাতার দাবিতে মিলগেটে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শ্রমিক কর্মচারিরা। এর আগে তারা মিলগেট চত্ত্বরের সামনে পাওনা টাকার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চিনিকল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান। গত বছরের পহেলা ডিসেম্বর শ্যামপুর চিনিকলসহ দেশের অপর ৫টি চিনিকল আধুনিকায়নের ঘোষণা দিয়ে আখ মাড়াই বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে বেকার হয়ে পড়ে সুগারমিলের শ্রমিক-কর্মচারিসহ মৌসুমী চাকরিজীবিরা। বেতন ভাতা না পেয়ে ৫ মাস ধরে চরম দুর্দশার মুখে পড়েন শ্রমিক কর্মচারিরা। শ্যামপুর সুগার মিলে স্থায়ী কর্মচারী রয়েছে ২১৯ জন এবং অস্থায়ী শ্রমিক-কর্মচারী রয়েছেন ১৯৮ জন। এদের মোট বকেয়া রয়েছে ৫ কোটি টাকার বেশি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবু সুফিয়ান বলেন, করোনার মহা দুর্যোগে সরকার থেকে সাধারণ মানুষকে নানাভাবে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। অথচ চিনিকল বন্ধ করে দিয়ে বেতন দেওয়া হচ্ছে না। বকেয়া বেতন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবার নিয়ে আমরা এখন দুর্বিষহ জীবনযাপন করছি। অনতিবিলম্বে আমাদের প্রায় ৫ কোটি টাকা পরিশোধ করা না হলে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। গত ঈদুল ফিতরে আমাদের বেতনসহ উৎসব ভাতা দেওয়া হয়নি। আসন্ন ঈদুল আযহায় বেতন ভাতা দেওয়ার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। অবসরে যাওয়া শ্রমিক-কর্মচারিদের গ্রাচুইটি পিএফ ফান্ডের টাকা পরিশোধ করা হচ্ছে না। ফলে তারাও চাকরি শেষে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, চিনিকল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি আকতারুল বাদশা। শ্রমিক নেতা বুল আমিন, কামরুজ্জামান বাবু, মঞ্জুরুল ইসলাম ও আব্দুস সাত্তারসহ কমিটির ১১ সদস্য। এসময় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মৌসুমি চাকরীজীবিসহ সাধারণ চাষিরাও সংবাদ সম্মেলনস্থলে জড়ো হন। তবে অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে মিল চত্বর এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।
শ্যামপুর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ৫ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে এটা ঠিক। ইতিমধ্যে বিষয়টি আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। এখন দেখি শ্রমিক-কর্মচারিদের জন্য কী করা যায়। সেই আশায় অপেক্ষা করছি বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল