নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার নোয়াগাঁও মিয়াবাড়ি এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়ি থেকে তিনটি শক্তিশালী আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
রবিবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট তিনটি বোমা নিষ্ক্রিয় করে।
প্রথমে রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে, পরে ১০টা ৫৪ মিনিটে ও শেষে ১১টা ০৮ মিনিটে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। প্রতিটি শব্দই ছিল বিকট। সেখান থেকে বোমা তৈরির বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
সিটিটিসি’র ডিআইজি আসাদুজ্জামান জানান, জঙ্গি আস্তানা থেকে উদ্ধারের পর আমরা তিনটি শক্তিশালী আইডি নিষ্ক্রিয় করেছি। অভিযান চলিয়ে আরও একজনকে গ্রেফতার কর হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ওই বাসাতেই থাকতেন। মামুন জঙ্গি গ্রুপের সাথে সাথে জড়িত। সে জঙ্গি গোষ্ঠীর সামরিক গ্রুপের সদস্য। তাদের এমন সামরিক সদস্যের সংখ্যা খুবই লিমিটেড হয়। তারা সাধারণত কোন হামলা সংগঠিত করতে পরিকল্পনা করে থাকে।
তিনি আরও জানান, মামুন নব্য জেএমবির সদস্য। তারা বিভিন্ন ট্যাক্টিকাল পয়েন্টে হমলার জন্য বোমা তৈরি করছিল। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই তাৎক্ষণিকভাবে এখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। বন্দর উপজেলার মদনপুরের কাজীপাড়ায় আরও একটি বাসা ঘিরে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সিটিটিসির বোমা উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয়করণ টিমের অতিরিক্ত উপকমিশনার এ কে এম রহমতউল্লাহ বলেন, গ্রেফতার হওয়া আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন তিনি নব্য জেএমবির সক্রিয় সদস্য। মামুন আড়াইহাজারের একটি বাড়িতে থাকতেন এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেছেন, সেখানে তিনি আইএস অনুপ্রাণিত আইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) তৈরি করতেন।
গত ১৭ মে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে প্লাস্টিকের ব্যাগের ভেতর থেকে শক্তিশালী একটি বোমা উদ্ধার হয়। ওই ঘটনা তদন্তে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, ওই বোমা আড়াইহাজারে এই আস্তানায় তৈরি করা হয়। নোয়াগাঁও মিয়াবাড়ি এলাকায় একটি মাদ্রাসার পাশে ওই বাড়িতে অভিযান চলছে।
রহমতুল্লাহ চৌধুরী জানান, গ্রেফতার মামুন সাংগঠনিকভাবে ডেবিট কিনারা ওরফে আকিন আল বাঙালি নামে পরিচিত। তিনি ওই এলাকার একটি মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে কাজ করতেন এবং একটি এতিমখানাতেও কাজ করতেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন