নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার বক্তাবলীতে ব্যাটারি চালিত মিশুক (অটোরিকশা) চালক মো. রবিন হোসেনের (২৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ঘটনায় তারই এক বন্ধু রিফাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে যার কাছ থেকে রবিনের ছিনতাই হওয়া মিশুকটি উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশের ধারণা, মিশুক ছিনতাই করতেই রবিনকে খুন করেছে তার বন্ধু। বুধবার বিকেলে রবিনের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। নিহত রবিন মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি থানার খিলপাড়া এলাকার মো. আবুল কালামের ছেলে। সে তার মা, স্ত্রী ও ৮ মাসের কন্যা সন্তানকে নিয়ে ফতুল্লার নরসিংপুর মরাখাল পাড় এলাকার সাজেদার বাড়িতে বসবাস করতো। এ ঘটনায় রবিনের বন্ধু রিফাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রিফাত ফরিদপুরের নগরকান্দা থানার মো. মিরাজ সরদারের ছেলে। সে পরিবারের সঙ্গে ফতুুল্লার শাসনগাঁও হুজুরের ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করে।
নিহত রবিনের মা মনোয়ারা বেগম জানান, রবিন তাদের ভাড়াটিয়া বাড়ির মালিক সাজেদা বেগমের মিশুক চালাতো। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রবিন মিশুক নিয়ে বের হয়। রাতে সে বাসায় ফিরে আসেনি। বুধবার দুপুরে লোক মাধ্যমে জানতে পারি রবিনকে কে বা কারা যেন হত্যা করে বক্তাবলীর চর রাজাপুরস্থ মাছের খামারে ফেলে রেখেছে। পরে সেখানে গিয়ে রবিনের পরিচয় শনাক্ত করি।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত রিফাতকে মিশুকসহ আটক করা হয়। নিহত রবিন ও রিফাত ঘনিষ্ঠ বন্ধু। মূলত মিশুক ছিনিয়ে নিতেই রবিনকে হত্যা করেছে কিনা তার পিছনে অন্য কিছু আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, রবিনকে হত্যা করে মিশুক ছিনিয়ে নিয়ে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জে বিক্রি করতে গেলে এলাকাবাসী মিশুকসহ রিফাতকে (২৬) আটক করে রবিনের বাড়াটিয়া বাসায় নিয়ে আসে। সেখানে এলাকার লোকজন রিফাতকে উত্তম মাধ্যম দিতে থাকে। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে রিফাতকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক