দুইটি বহুতল ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড। এরই মধ্যে প্রকল্প প্রস্তুত করে অনুমোদনের জন্য শিক্ষামন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে এই ভবন দুইটি নির্মাণ করা হবে।
রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মকবুল হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। আজ শনিবার সকালে বোর্ডের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।
চেয়ারম্যান জানান, নগরীর কাজিহাটা এলাকায় বোর্ডের এক বিঘা জমি আছে। সেখানে আটতলা ভবন নির্মাণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এছাড়া আরেকটি দশতলা শিক্ষাবোর্ড ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আটতলা ভবনটির নাম হবে ‘শিক্ষাবোর্ড টাওয়ার’। সেখানে বোর্ডের আইসিটি বিভাগ হস্তান্তর করার পরিকল্পনা আছে। মূল্যবান নথিপত্র সংরক্ষণে ওই ভবনে একটি আর্কাইভও করা হবে। থাকবে মিনি কনফারেন্স রুম। সেটি ভাড়া দিয়ে বোর্ডের আয় বৃদ্ধি করা হবে। শিক্ষকদের জন্য একটি ডরমেটরিও করা হবে। সেখানে বিভাগের আট জেলা থেকে শিক্ষাবোর্ডে কাজে আসা শিক্ষকরা স্বল্পখরচে থাকতে পারবেন। এতে শিক্ষকদের বিড়ম্বনা কমবে। আর দশতলা শিক্ষাবোর্ড ভবনে একটি অত্যাধুনিক মিলনায়তন থাকবে।
অধ্যাপক মকবুল হোসেন মতবিনিময়কালে বোর্ডের নানা সমস্যা এবং সমাধানের পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি জানান, বোর্ডের এখন অনুমোদিত জনবলের সংখ্যা ২১০টি। এরমধ্যে এখন ১৪৫ জন কর্মরত। এদের মধ্যে ৬৫ জনই দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করেন। বাকি ৮০ জন স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী। খালি পড়ে আছে ৬৫টি পদ। এতে নানামুখী সংকট দেখা দিচ্ছে। সে সমস্যারও সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান।
তিনি আরও জানান, শিক্ষাবোর্ড ভবনে এখনও লিফট নেই। বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা নানা কাজে বোর্ডে এসে চার-পাঁচতলা সিঁড়ি বেয়ে উঠতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন। একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক পেনসনের জন্য বোর্ডে এসে তো সিঁড়ি বেয়ে উঠতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন। সে কারণে ভবনে লিফট সংযোজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া মসজিদ সংষ্কারেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
চেয়ারম্যান জানান, করোনাকালে সবখানেই স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। তারপরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে হলেও রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের কার্যক্রম চলছে। বোর্ডের উন্নয়নে চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের সহায়তা কামনা করেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত
