গিনেস বুকে আবেদন করা সাভার আশুলিয়ায় শিকড় এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের খর্বাকৃতির গরু রানীর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে ছোট এই গরুর মৃত্যু নিয়ে পাল্টা-পাল্টি বক্তব্য দিচ্ছেন মালিক ও উপজেলা পশু চিকিৎসক।
ফার্মের ব্যবস্থাপক জানান, গরু মারা যাওয়ার খবরটি গুজব। ছোট গরু হওয়ায় অনেক সময় সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পেট ফুলে যায়। তবে ফের সুস্থ আছে। এর আগে বক্সার ভুট্টি জাতের এ খর্বাকৃতির গরুটির পেটে গ্যাস জমে মারা গেছে বলে জানান উপজেলা পশু চিকিৎসকরা।
বৃহস্পতিবার গরুটি বেঁচে থাকার কথা জানিয়ে ফার্মের ব্যবস্থাপক আবু সুফিয়ান বলেন, রানীকে বিভিন্ন সময় চুরির চেষ্টা চালানো হয়েছে। এছাড়া অনেকেই দেখতে আসেন। এসব কারণে তার নিরাপত্তা হুমকি ছিল। সম্প্রতি রানীর মতো আরেকটি গরুও আনা হয়েছে এখানে। নতুন গরু আনার পর রানীকে আরেক ঘরে নেওয়া হয়েছে। ওখানে নেওয়ার পরেই রানী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে মারা যাওয়ার খবরটি গুজব। ছোট গরু হওয়ায় অনেক সময় সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পেট ফুলে যায়। তবে ফের সুস্থ হয়ে যায়। এটা নিয়মিত প্রক্রিয়া।
অন্যদিকে, সাভার উপজেলা উপ-সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল মোতালিব বলেন, মূলত গরুটি দুই-তিন দিন থেকে অসুস্থ। সেই ফ্রার্মের নিজস্ব ডাক্তার এতদিন চিকিৎসা করেছে। পরে গরুটির অবস্থার অবনতি হলে সাভারে পশু হাসপাতালে আনে আজ দুপুরে। পরে চিকিৎসা দেওয়ার সময় আধাঘণ্টা পরই গরুটির মৃত্যু হয়। মূলত গরুটির খাবারে সমস্যা হওয়ার কারণে মারা গেছে। যাকে বলে ফুট পয়জন। ছোট গরু হিসেবে দানাদার খাবারটা একটু বেশি দিয়ে ফেলায় এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় ১ বছর আগে গরুটি নওগাঁ জেলা থেকে গরুটি সংগ্রহ করেছিলেন ফার্ম কতৃপক্ষ। গিনেস বুকে নাম লেখানোর জন্য গত ২ জুলাই গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন ফার্ম কতৃপক্ষ। এর পরই গণমাধ্যম ব্যাপকভাবে প্রচার করলে বিশ্ব দরবারে রানী পরিচয় লাভ করে।
খর্বাকৃতির এই গরুটির ওজন ২৬ কেজি আর উচ্চতা ২০ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ২৭ ইঞ্চি। গরুটির বয়স ২ বছর।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন