রংপুর কারমাইকেল কলেজের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও সাহিত্যিক মুহম্মদ আলিম উদ্দিন বুধবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
বৃহস্পতিবার বাদ জোহর রংপুর নগরীর জেএনসি রোড হোমিওপ্যাথিক কলেজ সংলগ্ন মসজিদে জানাজা শেষে তাকে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তার জানাজা ও দাফনে রংপুরের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মোস্তফাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি ‘নিভৃত নিলয়’, নূরপুর, রংপুরের বাসায় স্থায়ী বসবাস করতেন। মুহম্মদ আলিম উদ্দিনের বাবা মরহুম মজেতুল্লাহ, মা মরহুমা আজিমুন্নেছা।
মৃত্যুকালে তিনি ১ ছেলে ও ৩ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে রংপুর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে রংপুর করোনা ডেডিকেডেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুর আগে তার করোনা নেগেটিভ ফলাফল আসে। কিন্তু শ্বাসকষ্ট কমেনি।
অধ্যাপক মুহম্মদ আলিম উদ্দিন সৃজনকর্মের মূল স্রোতধারায় প্রবন্ধ, কবিতা, গল্প, উপন্যাস, ছড়া চর্চায় সমান্তরালে দক্ষতার ছাপ রেখে গেছেন। রচনা করেছেন প্রায় ২৫টির বেশি গ্রন্থ। তিনি বেসরকারি কারা পরিদর্শক ছিলেন। সেই স্মৃতি থেকে রচনা করেছিলেন ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গ্রন্থ।
আলিম উদ্দিনের জীবনী বাংলা একাডেমি লেখক অভিধানে অন্তর্ভুক্ত আছে। ছিলেন বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য, রংপুর সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের সদস্যও ছিলেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই