রংপুর জেলার সদর উপজেলার চন্দনপাট ইউনিয়নের মন্ডল পাড়া গ্রামে প্রায় ২০টি বাড়ির গভীর ও অগভীর নলকূপ থেকে উঠছে গরম পানি। এই অবস্থা দীর্ঘদিন থেকে চলে আসছে। তবে বিষয়টি জানাজানি হলে বৃহস্পতিবার সকালে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের একটি টিম ওই গ্রাম পরিদর্শনে যান।
পরিদর্শনকারী দলের প্রধান বলেন, পানিতে ক্ষতিকর উপাদান না থাকলে এই পানি হবে প্রাকৃতিক গরম পানির জলাধার, যা জনস্বাস্থের জন্য খুবই উপকারী। এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশে এই প্রথম।
ওই গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা শফিউল আলম বাবু জানান, তার বাড়িতে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস থেকে নিরাপদ ও সুপেয় পানির জন্য ৫৪৫ ফিট গভীর একটি সাব মার্সিবাল গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। কয়েকদিন ঠান্ডা পানি ওঠার পর ওই নলকূপ থেকে গরম পানি বের হওয়া শুরু হয়। পরে দুইটি টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। তবু পানির কোনো পরিবর্তন নেই।
একই এলাকার মুকুল, বদি ও আনজুয়ারা বলেন, মন্ডল পাড়ার প্রায় কমপক্ষে ২০টি নলকূপ থেকে দীর্ঘদিন ধরে গরম পানি উঠছে। মো. নজরুল ইসলাম নামে একজন জানালেন, যখন থেকে বুঝতে শিখেছি, তখন থেকে মন্ডল পাড়া গ্রামের অনেক নলকূপে গরম পানি বের হতে দেখছি।
মন্ডল পাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই পানি অন্য এলাকার পানির মতো খেতে স্বাদ লাগে না। সাবানের পানির মতো পানি অনেকটা পিচ্ছিল এবং গন্ধটাও অন্য রকম।
রংপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী পঙ্কজ কুমার সাহা বলেন, বিষয়টি শুনে বৃহস্পতিবার আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বাংলাদেশে এটি একটি বিরল ঘটনা। ওই গ্রামের পানি আমরা পরীক্ষা করতে নিয়ে এসেছি। প্রাথমিক পরীক্ষায় পানিতে কোনো ক্ষতিকর উপাদান পাওয়া যায়নি। তবে উন্নত পরীক্ষা ও মতামতের জন্য ঢাকায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ও জিওলজি বিভাগে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, পানিতে ক্ষতিকর উপাদান না থাকলে এটি হবে বাংলাদেশের প্রথম প্রাকৃতিক গরম পানির জলাধার। এটি এই অঞ্চলের মানুষের জন্য খুব উপকারী হবে বলে তিনি মনে করেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই