সম্প্রতি সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষের পূজামণ্ডপ ও বসতবাড়িতে হামলাকারীদের বিচার ও সংখ্যালঘু সুরক্ষায় আইন প্রণয়ন ও কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বকারী বিভিন্ন সংগঠন। আইন প্রনয়ন ও কমিশন গঠনে সরকারকে দুই সপ্তাহের সময়ও দিয়েছেন তারা।
এর আগে শুক্রবার বিকেল চারটা থেকে বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের নেতৃত্বে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা এসব দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মশাল মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবে গিয়ে তাদের কর্মসূচি শেষ হয়। অবরোধের ফলে শাহবাগের চারদিকের রাস্তায় যানজটের তৈরি হয়।
কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে যোগ দেয় আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন), বাংলাদেশ সনাতন কল্যাণ জোট, বাংলাদেশ হিন্দু লয়ার্স অর্গানাইজেশন (বিএইচএলও), আর্য প্রতিনিধি সভা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটসহ আরও কয়েকটি সংগঠন।
কর্মসূচি থেকে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রত্যেককে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের দাবি জানানো হয়।
কর্মসূচিতে হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাজন কুমার মিশ্র বলেন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ণ ও কমিশন গঠন করতে আমরা সরকারকে দুই সপ্তাহের আল্টিমেটাম দিচ্ছি। এই দুই সপ্তাহের মধ্যে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়নের তৎপরতা না দেখলে আমরা প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় বরাবর পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করব।
হিন্দু আইনজীবী পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুমন কুমার রায় বলেন, দেশব্যাপী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপর নারকীয় হামলা হয়েছে। প্রশাসন সেখানে তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। রাষ্ট্র সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। সা¤প্রদায়িক হামলায় জড়িতররা বার বার পার পেয়ে যাচ্ছে। এর আগেও সাম্প্রদায়িক হামলায় সংখ্যালঘুরা বিচার পায়নি। আমরা চাই, হামলার নেপথ্যে যারা জড়িত, তাদেরকেও যেন বিচারের আওতায় আনা হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল