বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া এই সরকারকে কোনো মতেই সরানো সম্ভব নয়। এখানে যে প্রস্তাবগুলো এসেছে যে যুগপদ, অথবা একমঞ্চ, সেটা পরে সিদ্ধান্ত হবে। আমরা আমাদের যার যার জায়গা থেকে শুরু করি। আমাদের দল থেকে পরিষ্কার আহ্বান আছে, আসুন সবাই একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে ন্যূনতম দাবির ভিত্তিতে। আমাদের মূল দাবি একটাই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি। এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা একসঙ্গে আন্দোলন করি, এদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করি। একথা সত্য এতে যদি আমরা ব্যর্থ হই, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কখনোই আমাদের ক্ষমা করবে না। সে জন্য আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ি।
শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে তার পরিবার আবেদন করেছিল। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে গতবারও আইনমন্ত্রী বলেছেন এখানে আইনি কোনো সুযোগ নেই তাকে বিদেশে পাঠানোর। এটা ডাহা মিথ্যা কথা। আইনে এটা রয়েছে। যে ৪০১ এর কথা তারা বলছেন, সেই ৪০১ বলা আছে, সম্পূর্ণ এখতিয়ার সরকারের। সরকার চাইলে তাকে মুক্তি দিতে পারেন, বিদেশে পাঠাতে পারেন, আবার সরকার চাইলে পুরোপুরি মওকুফও করে দিতে পারেন। কিন্তু তাদের লক্ষ্য একটাই তারা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে এখন জীবন থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। সে কারণে তারা তাকে চিকিৎসার সুযোগ দিতে চাচ্ছে না।
এনপিপির সভাপতি ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিসি নুরুল হক নূর প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন