রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা বাবলু নাগ চিকিৎসার জন্য বেশ কয়েকদফা ভারত গিয়েছেন। তিনি সকালে বুড়িমারী কমিউটার ট্রেনে বুড়িমারী হয়ে ভারত যেতেন। ১ মার্চ থেকে রংপুরে বুড়িমারী কমিউটার ট্রেন চলবে না শুনে তিনি হতাশ। তার মতো অনেকেই হতাশা ব্যক্ত করেছেন।
বুড়িমারী কমিউটার ট্রেন চলবে লালমনিরহাট থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত। নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে লালমনিরহাট কমিউটার। এই ট্রেন এতদিন পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে বদরগঞ্জ, রংপুর-কাউনিয়া হয়ে বুড়িমারীতে যেত।
জানা গেছে, দিনাজপুরের পার্বতীপুর স্টেশন থেকে ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে রংপুর লালমনিরহাট হয়ে বুড়িমারী পৌঁছাত সকাল ১০টায়। সেখানে ২০ মিনিট বিরতি দিয়ে পুনরায় একই রুটে পার্বতীপুর পৌঁছাত। এই ট্রেনে রংপুরের অনেক ব্যবসায়ী বুড়িমারী যাতায়াত করতো। বদরগঞ্জ, শ্যামপুর থেকে অনেক শিক্ষার্থী বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, কারমাইকেল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসত। ট্রেনটি যাত্রা পথ সংক্ষিপ্ত হওয়ায় পার্বতীপুর-রংপুরের শত শত ট্রেন যাত্রী হতাশ হয়ে পড়েছেন। ট্রেনটি বন্ধ হয়ে যাওয়া মানুষকে এখন সড়কের দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে হবে।
সাবেক পৌর চেয়ারম্যান কাজী মো. জুননুন, রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি রেজাউল ইসলাম মিলনসহ অনেকেই বলেন, বুড়িমারী ট্রেনের যাত্রা পথ সংক্ষিপ্ত করায় রেল বিভাগের জন্য আত্মঘাতী হবে। কারণ এই ট্রেনটি এই অঞ্চলের অনেক মানুষ বুড়িমারী এবং পার্বতীপুর যাতায়াত করেন। ট্রেনটিও লাভজনক। তারা রেল বিভাগের আত্মঘাতী এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবি জানান।
রংপুর রেলস্টেশনের সুপার শঙ্কর গাঙ্গুলি বলেন, বুড়িমারী কমিউটার ট্রেনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে সকাল সাড়ে ১১টায় একটি ট্রেন লালমনির হাট পর্যন্ত চলাচল করবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই