অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে করা মামলা এবং বিচার প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের করা পৃথক রিটের শুনানি এক সপ্তাহের জন্য মুলতবি করা হয়েছে। আগামী ৫ জুন রুলের শুনানি গ্রহণ করা হবে।
আজ রবিবার সময় চেয়ে রিটাকারীপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে রিটকারী তারেক রহমান পলাতক থাকায় তিনি আদালতে আইনজীবী নিযুক্ত করতে পারেন কি-না, সে বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবীকে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। রুল শুনানির সময় এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও হিসাব বিবরণীতে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। মামলায় তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুকেও এ মামলার আসামি করা হয়।
মামলায় ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎস বহিভুর্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এরপর ওই বছরই তারেক রহমান ও তার স্ত্রী হাইকোর্টে পৃথক রিট করেন। এতে জরুরি আইন ও মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। ২০০৭ সালের নভেম্বরে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। প্রায় ১৪ বছর পর গত ২০ এপ্রিল ওই রুল হাইকোর্টের শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক