রাজধানীর শ্যামপুরে শেখ ইসলাম পাভেল হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত দু'জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও মাসুম নামে একজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন।
সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সৈয়দা হাফছা ঝুমার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
আসামিরা হলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তুহিন এবং তার ছোট ভাই এরফান (যাবজ্জীবন) ও তাদের ফুফাতো ভাই মাসুম (আমৃত্যু কারাদণ্ড)। এছাড়াও রাব্বিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার আগে তুহিনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মাসুম পলাতক রয়েছে। অপর দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে তিন আসামিকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি এরফান ও রাব্বিকে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাদের আরও এক বছর কারাভোগ করতে হবে। এছাড়া আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া মাসুমকেও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মামলার ভিকটিম ও আসামিরা শ্যামপুরের জুরাইন এলাকায় বাস করতেন। তুহিন ভিকটিমের বোনকে প্রায় উত্ত্যক্ত করতেন। এ নিয়ে পাভেল ও তুহিনের মধ্যে বিরোধ ছিল। ২০১৮ সালের ৩ নভেম্বর রাতে এলাকায় ধূমপান করছিল তুহিন। পাভেল তাকে ধূমপান করতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পাভেলকে হত্যার হুমকি দিয়ে তুহিন চলে যায়। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে জুরাইন নতুন রাস্তা খাদ্য ভবনের পাশে পাভেল তার বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছিল। এ সময় আসামিরা পাভেলকে মারধর করেন। এরপর পাভেলকে তার বন্ধুরা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরদিন ঢাকা মেডিকেলে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাভেলের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ওই দিনই পাভেলের বাবা মনির হোসেন শ্যামপুর থানায় মামলা করেন।
২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সাব-ইন্সপেক্টর মাসুদ খান চারজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন