২৭ জুন, ২০২২ ১৬:০০

ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন তিস্তা পাড়ের মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন তিস্তা পাড়ের মানুষ

রংপুরের গঙ্গচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারি ইউনিয়নের পশ্চিম ইচলি বাগের হাট এলাকার কৃষক নুরুল হক, অজিজুল ইসলাম দুইজনে ৪০ বিঘা জমিতে ভুট্টা আবাদ করেছিলেন। এবারের বন্যায় সব ভ্ট্টুা পানিতে তলিয়ে গেছে। সেখান থেকে এক টাকার ফসলও ঘরে উঠবে না। তাদের দুজনের পরিবার চিন্তিত আগামী দিনগুলো কিভাবে চলবে।

গঙ্গাচড়া উপজেলায় তাদের মতো কয়েকশত কৃষকের ভুট্টা, আমনের বীজতলা, বাদামসহ বিভিন্ন ফসল ক্ষতি হয়েছে। তার পরেও তারা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে আমনের বীজতলাসহ অন্য ফসল আবাদের চিন্তা করেছেন।

কৃষক নুরুল হক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, আগে আমার বাড়িতে ৮/১০ লোক সব সময় কাজ করত। প্রতিবছর বন্যায় আবাদি জমি কমছে। সেই সাথে ফসলহানিও হচ্ছে। আমাদের পরিবার ছিল সচ্ছল। এখন আমার ছেলে ঢাকায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে।

তিনি বলেন, বন্যায় এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হলে ঋণ করে আমনের বীজতলা করতে হবে। যদি আমনের আবাদ করতে না পারি তাহলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। তারপরেও আমরা তিস্তা পাড়ের মানুষ সংগ্রাম করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।

সম্প্রতি ভারতের গজলডোবায় ব্যারাজের পানি ছেড়ে দেয়া ও ভারী বর্ষণে তিস্তার পানি কয়েক দফা বিপদসীমা অতিক্রম করে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে পানি বিপদসীমার নিচে থাকলে যেকোনো সময়ে আবার বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এমন আশঙ্কা করছেন তিস্তা পাড়ের মানুষ।

লক্ষ্মীটারি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদি বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ঘুরে দাঁড়াতে সরকারি প্রণোদনার বিকল্প নেই। কারণ যেসব ফসল নিমজ্জিত হয়েছে সেসব ফসল কৃষকের ঘরে ওঠার সম্ভাবনা খুবই কম। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর